শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি ২২ শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৭:০৬
শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বলি ২২ শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইল শমসের ফকির ডিগ্রি কলেজে সম্প্রতি শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ২২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ নিয়ে ওই কলেজে ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গত সোমবার শিক্ষক লোকমান হোসেনকে দায়ী করে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রভাষক লোকমান হোসেন।


৯ জুলাই, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নিকরাইল বাজারে তার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় ২২ জন শিক্ষার্থীর নিকট ফরম পূরণ বাবদ ৮ হাজার টাকা দাবি করে কলেজের পরীক্ষা কমিটি। ওই শিক্ষার্থীদের টাকা কম থাকায় তার নিকট আসে। পরে তিনি ওই ছাত্রদের নিয়ে গিয়ে রোল নম্বর ও পদত্ত টাকাসহ নাম ঠিকানা লিখে পরীক্ষা কমিটির নিকট জমা দেন। টাকা কম হওয়ায় কমিটি বলে দেয় ফরম ফিলাপের শেষের দিন তাদের রশিদ দেয়া হবে। এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষ আশ্বাস দেন পরীক্ষার আগের দিন তোমরা প্রবেশপত্র পাবে।


গত ২৯ জুন অধ্যক্ষ ঘোষণা দেন যারা লোকমান হোসেনের মাধ্যমে যারা ফরম পূরণের টাকা জমা দিয়েছো তাদের ফরম পূরণ হয়নি। এ কথা শুনে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে উঠে। একপর্যায় ওই ছাত্রদের মধ্যে দুজন ও তাদের অভিবাবকদের নিয়ে ঢাকায় রওনা দেই। ঢাকায় পৌঁছাতে রাত ১০টা বেজে যায় বিধায় বোর্ড বন্ধ পাই। ঢাকায় একরাত থেকে বোর্ডে গেলে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নহিন ইসলাম বলেন, ওই ২২ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়ে এডমিট (প্রবেশ পত্র) প্রিন্ট হয়ে তার দফতরে রয়েছে। গতকাল ৯টার আগে আসলেও নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু আপনাদের অধ্যক্ষ মো. আক্তারুজ্জামান রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করে এডমিট বাতিলের জন্য। আমি অনুরোধের পরেও ওই শিক্ষাদের এডমিটকার্ড আনতে পারিনি।


তিনি আরো বলেন, কলেজে একজন শিক্ষক জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করে। অন্য শিক্ষক কলেজের টাকা তছরুপ করে এর প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে আমার অভ্যন্তরীন কোন্দল চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেই কোন্দলের বলি যে শিক্ষার্থীরা হবে এটা আমি বুঝতে পারিনি।


তিনি বলেন, ওই ছাত্রদের ফরম পূরণ যদি না হয়ে থাকে তাহলে অধ্যক্ষ এডমিট কার্ড বাতিলের আবেদন করলো কেন। আমি যদি পরীক্ষা কমিটির কাছে ফরম পূরণের টাকা জমা না দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে বরখাস্ত করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে পারতো। তাহলে ওই ২২ শিক্ষার্থী পরীক্ষার সুযোগ পেতো। এখন কেন আমাকে বরখাস্ত করা হলো। সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে আমাকে কলেজ থেকে সড়ানোর জন্য এ গর্হিত কাজ করেছে তারা। আমি এ সাময়িক বরখাস্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/বাবু//লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com