
দেশের কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এআইপি (এগ্রিকালচারাল ইম্পর্ট্যান্ট পারসন-এআইপি) সম্মাননা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. রুহুল আমিন। উন্নতজাতের ফলচাষের জন্য এ সম্মাননা পান তিনি।
৭ জুলাই, রবিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মো. রুহুল আমিনের হাতে ২০২১ সালের এআইপি সম্মাননা তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।
এআইপি সম্মাননা গ্রহণের পর নিজের অনুভুতি জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, এ সম্মাননা অবশ্যই আন্দন্দের ও গর্বের। এ প্রাপ্তি আমার কাজের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দেবে। এই অর্জন আমার 'গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর’ সকল শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করলাম।
এই তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা আরও বলেন, কৃষি যদি উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর হয় তাহলে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে দেশে। কেউ যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে অবশ্যই সফল হবে। আমার মূল লক্ষ হলো কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের পরিপূর্ণ ভাবে ব্যবহার করা।
চুয়াডাঙ্গায় একই জমিতে ড্রাগনের পাশাপাশি স্ট্রবেরি আবাদ করে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া রুহুল আমিন লিটন ২০১৬ সালে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।
জীবননগর উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দুরে পেয়ারাতলা গ্রামে প্রথমে ৪৫ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন 'গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রো' নামের মিশ্র ফলের বাগানটি।
পরে আরও ২০ বিঘা জমি 'গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রো' এর সাথে যুক্ত হয়। মোট এরপর আরও ৩৫ বিঘাসহ মোট ১০০ জমিতে ড্রাগন, পেয়ারা মেওয়াসহ নানা জাতের ফল চাষ শুরু করেন রুহুল আমিন।
৬৫ বিঘা ড্রাগন ফলের সারির ফাঁকা জায়গায় সাথী ফসল হিসেবে লাগানো হয় স্ট্রবেরি ফলের চারা। এভাবেই মিশ্র ফল চাষের জগতে সাড়া ফেলেন রুহুল আমিন।
এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট পাঁচটি বিভাগে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এআইপি কার্ডের মেয়াদ এক বছর। এআইপি স্বীকৃতিপ্রাপ্তরা সিআইপিদের মত সুযোগসুবিধা পান।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা তৈরি করে। তার আলোকে ২০২০ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মাননা দেয়া হলো।
বিবার্তা/আসিম/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]