
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া পৌরসভার এলাকার পীরগাছা ও কাঠালবাড়িয়া মাজার মুসাখাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্প অবস্থিত। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ১১৭ টি পরিবার বসবাস করে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় একরকম ঘরবন্দি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে মাসের পর মাস।
বাড়ির পাশে পাকা রাস্তা থাকলেও বাড়ি থেকে বের হয়ে পাকা রাস্তায় যাবার কোনো রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। রাস্তা হিসেবে যে পথ ব্যবহার করতো তা ছিল ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি। সেই জমিতে এখন ফসল চাষ করার জন্য রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া অন্য পথগুলো অনেক আগেই বাঁশের চেকার দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন মালিকগণ।
রাস্তা বন্ধ থাকায় এই বর্ষা মৌসুমে খুব কষ্ট এবং দুর্ভোগে সময় পার করছে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। সরেজমিনে এর সত্যতা পাওয়া যায়।
আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পাকা রাস্তায় উঠার জন্য শেষ প্রান্তে একটি মাত্র রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি শেষ প্রান্তে হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা বাসিন্দারা। সরকারি জমিতে রাস্তা হবে এমন জায়গা নির্ধারণ করা হলেও কোন এক কারণে এই জায়গাটিতে রাস্তা স্থাপন হচ্ছে না। রাস্তাটি সংস্কার হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বড় একটি ভূমিকা পালন করবে এলাকাবাসীরা। ছেলে মেয়েদের সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে স্কুল, কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারবে। কিন্তু সেই স্থানটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা এখন দখল করে ভোগ করছে।
মুসাখাঁ আশ্রয়ণ প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর রাখার জন্য একটি কমিটি রাখা হয়েছে। কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাস্তা ছাড়া আমরা অনেক কষ্টে বসবাস করছি এই আশ্রয় প্রকল্পে। আমরা অনেকবারই আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলারদের রাস্তার বিষয়ে অবগত করেছি। কাউন্সিলর আমাদের থেকে একটি লিখিত আবেদন চেয়েছে আমরা লিখিত আবেদনও দিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন সুফল পাচ্ছি না।
পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম রুহুল বলেন, তারা আমার কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পূর্বে তারা যে সকল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতো সেগুলা আসলে ব্যক্তি মালিকানা হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বাসের চ্যাগারের বেড়া দিছে এবং অনেকে স্থানে জমিতে ফসল শুরু করছে যার কারণে এখন বর্তমানে মুসাখাঁ আশ্রয় প্রকল্পে রাস্তা না থাকায় তার খুব কষ্টে আছে। তবে মুসাখাঁ আশ্রয় প্রকল্পে নতুন করে একটি রাস্তা হওয়া খুবই দরকার।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ আসেনি। যদি কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/সোহান/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]