
রূপকথার সেই হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার দেখা মিলল ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী গ্রাম মহেশপুরের ভবনগরে। হ্যামিলিয়নের বাঁশিওয়ালার পিছনে ইঁদুর ছুটে আসলেও মহেশপুরের নাজমুলের পিছনে ছুটে আসে শতশত হনুমান। এমন বিরল ও রোমাঞ্চকর ঘটনা কেবল সিনেমাতেই দেখা যায়। কিন্তু সেই গল্পের বাস্তব রূপদানকারী হলেন নাজমুল হোসেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে মহেশপুরের ভবনগর গ্রাম। হাতে সেই জাদুকরী বাঁশি নেই ঠিকই কিন্তু মুখ দিয়ে শুধু 'আয়-আয়' বলাতে হুড়-হুড় করে এ ডাল-ও ডাল, এ গাছ-ও গাছ থেকে নেমে আসছে শত-শত হনুমান।
নার্সারি ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন জানান, সন্তানের মতো তিনি গত ১০ বছর ছন্নছাড়া এ হনুমানগুলোর দেখা-শোনা করছেন। খাবার খাওয়াচ্ছেন। কেউ তার হাত থেকে নিচ্ছে, কেউবা পাশে বসে খাচ্ছে। হনুমানগুলোর কাছে তিনি যে কতটা বিশ্বস্ত তা না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। তিনি এ গ্রামেরই সন্তান। তার এমন নান্দনিক গল্প দেখতে ভিড় করে শতশত মানুষ।
গ্রামের রহমান বিশ্বাস জানান, নাজমুলের এমন কর্মকাণ্ড সত্যিই ব্যতিক্রমী। তবে হনুমানগুলোর জন্য দরকার থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা। হতে পারে একটি পর্যটন জোন। যদি এমন করা যায় তবে পাল্টে যাবে এ এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
মহেশপুর-কোটচাঁদপুর বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, নাজমুলের এমন কীর্তি একটি দৃষ্টান্ত । তাকে যে বিরল প্রজাতির হনুমানগুলো কতটা বিশ্বাস করে তা না দেখলে বোঝা যাবে না। অবলা জীবের প্রতি এমন ভালোবাসা সত্যিই একটি অনন্য নজীর।
তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে প্রতিদিন এসব হনুমানদের খাবারের জন্য ১৬ কেজি কলা, ২ কেজি বাদাম, পাউরুটি (৫০ পিচ) ও ২ কেজি সবজি বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিবার্তা/রায়হান/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]