
প্রকৃতির অপরূপ নিসর্গ ও সৌন্দর্য উপভোগের জন্য সম্প্রতি ঈদুল আজহার ছুটি শেষে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঝরনা-ঝিরি খ্যাত পর্যটন জনপদ খাগড়াছড়ি। ঈদের ছুটিতে এই জেলার বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে গেল দুদিনে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকের চেয়ে স্থানীয় পর্যটকদের বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার ২৮ জুন সরজমিনে দেখা যায় খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্ক (হর্টিকালচার পার্ক) ও আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে ঝুলন্ত ব্রিজে ছবি তোলা নিয়ে অনেকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এছাড়াও রিছাং ঝরনাসহ খাগড়াছড়ির সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও পর্যটকদের কাছে টানছে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের ঝুলন্ত সেতু দেখে উচ্ছ্বসিত ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। এছাড়াও দুই পাহাড়কে সংযোগকারী ‘লাভ ব্রিজে’ পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়।
আলুটিলা পার্কে কথা হয় দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি থেকে আসা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বাবুর সাথে।
তিনি বলেন, আমার এলাকা থেকে প্রায় প্রতি বছর সাত দিনের ভ্রমণে আসেন যুবক ও ভ্রমণ পিপাসু নানা বয়সের লোক। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আজ আমরা খাগড়াছড়িতে পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছি। নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র দেখে আমরা খুব খুশি ও আনন্দিত হয়েছি। এছাড়াও আলুটিলাতে এখন নতুন করে যোগ হয়েছে ঝুলন্ত সেতু এবং অন্ধকারের গুহা।
উত্তর বঙ্গ থেকে আসা পর্যটক মিটু মিয়া ও গোপাল রবিদাস বলেন, এবার আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে ঝুলন্ত সেতু ও অন্ধকার গুয়া আমাকে বিমোহিত করেছে। আমরা প্রায় ৪০ জন এসেছি খুব আনন্দ করলাম।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কে কথা হয় কাওসার রহমান এর সাথে। তিনি বলেন, এখানকার ঝুলন্ত সেতু এবং পার্কের ভিতরের সৌন্দর্য আমাকে বিমোহিত করেছে। এছাড়া পাহাড়ের সাথে মনে হচ্ছে মেঘ মিশে গেছে এবং সেখানকার ছোট বড় বাড়ি ঘর আমাকে আরও বিমোহিত করেছে। আমার কাছে সবচেয়ে আচার্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের কি জীবন আর তাদের কি জীবন? আর একটা বিষয় আমি ভুলতে পারছি না আঁকা বাঁকা ও উঁচু নীচু পাহাড়ি রাস্তা।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এবারের ঈদেও পর্যটকদের পদচারণায় সরব ছিল আলুটিলা। বর্তমান সময়েও আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে আরও ৪-৫দিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছেন বলে জানা গেছে।
বিবার্তা/রব্বানী/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]