
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার জাহাঙ্গীর মাস্টারের বাড়ি এখন অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রম। নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত আশপাশের পরিবেশ। বিভিন্ন সময়ে এসব অতিথি পাখি শিকারিদের খপ্পরে পরলেও প্রায় ৪০ বছর যাবৎ মায়া-মমতা আর ভালবাসা দিয়ে তাদের আগলে রেখেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাগরতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর মাস্টারের বাড়িটি অতিথি পাখির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। ১৯৮৪ সাল থেকেই বক, সারস পানকৌড়ি, রাতচরাসহ ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসে জাহাঙ্গীর মাস্টারের বাড়িতে। বাড়ির আঙ্গিনার বিভিন্ন গাছে বাসা বেধেছে তারা। স্ত্রী পাখিরা ডিমে তা দিচ্ছে, আর পুরুষ পাখিরা ব্যস্ত খাবার জোগাতে।
৭০ বছর বয়সী পাখি প্রেমিক শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, ২০০৮ সালে চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তার বেশির ভাগ সময় পাখিদের সাথেই কাটছে। বিভিন্ন সময়ে শিকারিরা থাবা বিস্তার করলেও সুবিধা করতে পারেনি। এসব পাখি প্রতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে গাছের ডালে বাসা বাঁধে, আবার বংশবিস্তার করে বছরের শেষের দিকে চলে যায় অজানা গন্তব্যে।
প্রায় ৪০ বছর ধরে এভাবেই এখানে বংশবিস্তার করে আসছে।আশপাশে অনেক গাছ-পালা থাকলেও শুধু তার বাড়িটিকেই বেছে নিয়েছে। বর্তমানে তার বাড়িতে প্রায় ২ সহস্রাধিক পাখি আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা পাখি দেখতে ভিড় করছেন তার বাড়িতে।
ঝড়ে কিছু গাছ-পালা ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং স্থান সংকুলান না হওয়ায় পাখির সংখ্যা কিছুটা কমে গেলেও এখনো প্রায় ২ সহস্রাধিক পাখি রয়েছে বলে জানান, পাখি প্রেমিক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
তাপ প্রবাহ রোধসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ ধরনের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক।
আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই পাখিদের নতুন নতুন অভয়াশ্রম গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা তার।
বিবার্তা/নিয়ামুল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]