জালভোটের অভিযোগ: চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ১৫:৩৭
জালভোটের অভিযোগ: চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
ফেনী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারি পাইলট বালিকা কেন্দ্রে ৪হাজার ১শত ৩৫জন ভোটারের মধ্যে ৫ ঘণ্টায় ভোট প্রয়োগ করেছে মাত্র ১৭০জন ভোটার। দুপুর আড়াইটার পর এ কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


এছাড়া সকাল থেকে স্থানীয় ষোলাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব পাঠানগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছালেমা-নজির উচ্চ বিদ্যালয়, হীরা মানিক অডিটোরিয়াম ও ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও দক্ষিণ সতর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সব কয়টি কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে ।


অন্যদিকে উপজেলার ঘোষাল হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সকাল ৯টার দিকে ফিরোজা আক্তার নামে এক নারী ভোটার অসুস্থ থাকায় তার ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদেরের প্রশ্নের মুখে পারুল আক্তার নামে এক জাল ভোটার দ্রুত হেঁটে মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে।


মূলত এ উপজেলার কোনো কেন্দ্রেই ভোটারদের কোনো লাইন দেখা যায়নি। ভোটার না থাকায় কেন্দ্রে অলস সময় পার করছেন ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা।


এদিকে উপজেলার পূর্ব পাঠানগড় সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে কয়েকজন নারীকে লাইনে দাঁড় করানো হয়। এরপর দীর্ঘক্ষণ তাদেরকে একইস্থানে অবস্থান করতে দেখে গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে ওইসব নারীদের কেউই নিজেদের নাম-পরিচয় কিংবা ভোটার নাম্বার বলতে না পেরে এক এক করে সেখান থেকে যায়।


কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হালিম। এদিকে শুভপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জালভোট দানে সহযোগিতা করছে পুলিশ।


চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী জায়েদ মো. ফারুকের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ফেনী থানার এসআই মোহাম্মদ ফারুককে প্রত্যাহার করেছেন রিটার্নিং অফিসার।


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫৪টি কেন্দ্রে বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৭ হাজার ৬৪৯ জন, নারী ভোটার ৮১ হাজার ৩শত ৫১ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন একজন। এখানকার ৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৩৮টি গুরুত্বপূর্ণের তালিকায় রয়েছে।


নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার, এএসএম সহিদ উল্ল্যাহ মজুমদার, আবদুল হালিম, মেহেদী হাসান এবং কাজী জায়েদ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিবি জুলেখা শিল্পী এবং নাছিমা আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিতা পারিয়াল বলেন, নির্বাচনে ৪৩০ জন পুলিশ সদস্য, আনসার ও ভিডিপি ৮২৮ জন কাজ করছে। পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি, পুলিশের ১১ টি মোবাইল টিম ও র‍্যাবের দুইটি টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে।


রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাস বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট শেষ করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।


বিবার্তা/মনির/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com