
নিউইয়র্ক ও লন্ডনের চেয়ে ঢাকা শহরে ছিনতাই, অপহরণ তুলনামূলক কম বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক ও লন্ডন শহরে অহরহ ছিনতাই, অপহরণ হয়। এ তুলনায় ঢাকা শহর ভালোই আছে। ঢাকায় যে সমস্যা নেই তা বলব না, সমস্যা রয়েছে; তবে তা সহনীয় পর্যায়ে আছে। আগে যে অবস্থা ছিল, এখন তা বদলে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে।
২ জুন, রবিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সমন্বয় সভার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আগে ঢাকার রাস্তায় সড়কবাতির আলো খুবই কম ছিল। সন্ধ্যার পর অলিগলিতে ভুতুড়ে অন্ধকার হয়ে যেত। অহরহ ছিনতাই, অপহরণ, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতো। মানুষ রাতে টর্চ লাইট নিয়ে চলাচল করতেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে আমি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রাস্তা, অলিগলিতে আধুনিক এলইডি সড়কবাতি স্থাপন করেছি। যাতে দুই-তিন মাইল দূর থেকে সবকিছু দেখা যায়। এতে পুলিশের ডিউটি করতে সুবিধা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অপরাধের পরিমাণ অনেক কমেছে। এখন আমরা সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারি। রাতে চলতে ভয় পেতে হয় না।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমরা সবাই মিলে এই শহরকে নিরাপদ দেখতে চাই। সুস্থ সুন্দর এবং স্মার্ট ঢাকা আমরা গড়ে তুলতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট ঢাকা গড়ে তোলার জন্য স্মার্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আমরা দেখতে চাই।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির গরুর হাটে যাতে চাঁদাবাজি না হয় সেই আহ্বান জানিয়ে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম ঢাকার অনেক পশুর হাট চড়ামূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে। একটা মাঝারি গরু কিনলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাসিলে দিতে হবে। এর উপরে যদি চাঁদাবাজি যুক্ত হয় এটা জনসাধারণের জন্য খুব মুশকিল হয়ে যাবে। গরুর হাটে যাতে চাঁদাবাজি না হয়, গরু যাতে ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর গ্রাম থেকে যারা গরু নিয়ে ঢাকার হাটে আসে, তারা যেন মলম পার্টি বা অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে নিঃস্ব না হয়; এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'বর্তমানে মূল্যস্ফীতি কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সাধারণ নাগরিকদের অনেক কষ্ট হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন টিসিবির মাধ্যমে, রেশন কার্ডের মাধ্যমে যাতে কম মূল্যে চাল, ডাল, লবণ, তেল পায়। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিস্থিতিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। কিন্তু আমাদের সমস্যাটা বাড়িয়ে দিচ্ছে চাঁদাবাজি। বিশেষ করে কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ১৫ থেকে ২০ ভাগ দাম কমানো সম্ভব। তাই এই চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশকে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]