
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে নিখোঁজ হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।
৩০ মে, বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধারের পর পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি টিম প্রীতি খন্দকারকে নিয়ে রওনা হয়েছেন। তাকে থানায় নিয়ে আসা হবে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ তার খোঁজ পেয়েছে নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায়। পুলিশের একটি দল তাঁকে আনতে নারায়ণগঞ্জের কাচপুরে গেছে।
ওসি আরো বলেন, দুজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল। এরপর নাকি আর তার কিছু মনে নেই। তবে তিনি নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন বলে আমাদের ধারণা।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর দুইটার পর নিখোঁজ হন প্রীতি খন্দকার। নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন উল্লেখ করে তার স্বামী এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
প্রীতির স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে তার প্রার্থিতা ফিরে পান।
মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যান প্রীতি। সেখানে ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানো অবস্থায় দুজন মহিলা বাহিরে আসেন। তখন প্রীতি ভোটারদের সাথে ভিতরে কথা বলছিলেন। এভাবে ১০-২০ মিনিট পার হওয়ার পরেও যখন প্রীতি ভেতর থেকে বের হচ্ছিলেন না তখন দুজন মহিলা ভেতরে গিয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
পরে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা'সহ থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করা হয়। পরে তিনি এ বিষয়ে থানায় জিডি করেন। স্ত্রীকে গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]