
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গভীর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেয়ায় উপজেলার পাড়েরহাট, টগড়া, লাহুরী, গাজীপুর, চারাখালী, ইন্দুরকানী, কালাইয়া, সাঈদখালী, ঢেপসাবুনিয়া, বালিপাড়া, চরবলেশ্বর, চন্ডিপুর, খোলপটুয়া সহ অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট, খালবিল,বাড়ী, বাগান, মাছের ঘের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
নদী তীরবর্তী হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আতঙ্কে কাটাচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণ। এ উপজেলায় নদী তীরবর্তী টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় খুব সহজেই জেয়ারের পানি প্রবেশ করে। বিগত ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলায় এ অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষি ফসল, গবাদি পশু, গাছপালা, মৎস্য ও মানুষের প্রাণ হানি ঘটে।
কালাইয়া গ্রামের আ. রুস্তম জানান, বাপ-দাদার জমি-ভিটা ভেঙ্গে কঁচা নদী চলে গেছে। বৃদ্ধ বাবা মা, ছেলে-মেয়ে নিয়ে নদীর পাড়ে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছি। বেড়িবাঁধ না থাকায় আজ আমরা পথের ফকির।
ইন্দুরকানী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ করিম ইমন জানান, উপজেলাটি নদী তীরবর্তী হওয়ায় বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর ইউনিয়নসহ অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বকর সিদ্দিকী জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ইন্দুরকানী উপজেলার পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইক্লোন সেল্টারে ইতিমধ্যে লোকজন আসতে শুরু করেছে। তাদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত।
বিবার্তা/শামীম/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]