
ইউরোপ-আমেরিকা নয়, থোকায় থোকায় টসটসে রসালো আঙুর ঝুলছে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মধুয়ার ডেইল গ্রামে শিক্ষক ফজলুল করিমের ঘরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
ফজলুল করিম ফয়েজ ঘটিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি আলাদা কিছু করার চিন্তা থেকেই বছরখানেক আগে বাড়ির আঙিনায় ৩০টি আঙুরের চারা লাগিয়েছিলেন। তিনটি চারা টিকাতে পারেননি। বাকি ২৭ টিতে ভালো ফলন হয়েছে।
শিক্ষক ও উদ্যোক্তা ফয়েজ বলেন, ইন্টারনেটে আঙুর চাষের বিভিন্ন ভিডিও দেখে আঙুর চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। অনলাইনে খুঁজতে খুঁজতে ভারতের কলকাতা শহরের একজন আঙুর চাষির সাথে তার সখ্যতা গড়ে। তার সাথে আলাপ করেই কুরিয়ারের মাধ্যমে ৩০টি আঙ্গুরের চারা এনে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করেন।
চারা বড় হবে কিনা, ফল দেবে কিনা কিংবা ফলগুলো মিষ্টি হবে কিনা এমন নানা ঝুঁকি পেরিয়ে গেছেন শিক্ষক ফয়েজ উল্লাহ।
তিনি বলেন, নানা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে আঙুর বাগানের কাজ শুরু করেছিলাম। শুরুতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে চারার কিছু ক্ষতি হলেও পরবর্তীতে বাগানের গাছগুলো বড় হতে থাকে। অবশেষে দীর্ঘ সাত মাস পরে গাছে আঙুরের দেখা মিলে। এর তিন মাস পরে বাগান থেকে আঙুর তুলতে পারছি।
ইতোমধ্যে আঙুর ফল বিক্রির পাশাপাশি আঙুরের চারাও বিক্রি করছেন উদ্যোক্তা ফয়েজ।
তিনি বলেন, মহেশখালী দ্বীপের জমি আঙুর চাষের উপযোগী। আমার কাছ থেকে চারা কিনে যে কেউ চাইলে আঙুর বাগান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাগান করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতাও করা হবে। এতে করে বেকারত্ব দূর হবে এবং বাড়ির আঙিনায় পতিত জমি ফলমূলে ভরে উঠবে।
আঙুর চাষের ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসিরুল আমিন বলেন, মহেশখালী দ্বীপে আঙুর চাষের বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন। যিনি চাষ করেছেন ইতোমধ্যে তার বাগানে কৃষি কর্মকর্তারা গিয়েছেন। তারাও খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এখানকার জমি কোন প্রজাতির আঙুর চাষের জন্য উপযোগী সেটা পর্যবেক্ষণের পর আঙুর চাষে কৃষকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
বিবার্তা/ফরহাদ/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]