
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় তিন ধাপের প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলা জেলা প্রশাসন। প্রথম ধাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি সেচ্ছাসেবক।
২৫ মে, শনিবার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এ তিন ধাপে প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিক পর্যায়ে ৮৫০ প্যাকেজ শুকনো খাবার, ৪৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকল কর্মকর্তাদের সতর্ক রাখা হয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিষয়ে সতর্ক করতে আজ সকাল থেকেই উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে অবস্থান করতে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড। সদরের তুলাতলিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক করছে কোস্টগার্ড।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান বলেন, জেলায় ৩৩৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এসব বাঁধ মোটামুটি সুরক্ষিত রয়েছে। কোথাও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নেই। তারপরেও বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. মনির বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে। বিকেল ৩টা নাগাদ ঝড়টি পায়রা বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণে অবস্থান করছে।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]