
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বঙ্গোপসাগরে ছয় দিনে এফবি মমতাজ নামের একটি বোটে মিলল ৩০ মণ ইলিশ, যা নিলামে বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ টাকায়।
১৯ মে, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, ছয় দিন আগে ২১ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত ঘাট এলাকার জেলে মো. মাইনুদ্দিন মাঝি। এ সময় তিনি মোট ৩০ মণ ইলিশ মাছ পান। আজ রবিবার সকালে চেয়ারম্যানঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে নিয়ে এলে বিভিন্ন ধাপে ৩০ মণ ইলিশ নিলামে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।
বোটটির সারেং হক মাঝি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের মেঘনা নদীতে ইলিশ কম। তাই মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম। জালে আমরা ভালো মাছ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে সামনে নিষেধাজ্ঞা আছে। গভীর সমুদ্রে আমরা যেতে পারব না। এবার মাছগুলো মাঝারি আকারের ছিল। তারপরও আমরা খুশি।
মেঘনা ফিশিং এজেন্সির ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, আমাদের হাতিয়ার ২১ জন জেলে মাছগুলো ছয় দিনে ধরেছে। এফবি মমতাজের সারেং ছিল হক মাঝি। তিনিই মাছগুলো নিয়ে চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছেন। ইলিশগুলো ছিল বিভিন্ন সাইজের। তবে মাঝারি সাইজের ইলিশ বেশি ছিল। নিলামে শেষ পর্যন্ত ৩০ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ছয় লাখ টাকা। আজ মাছের দাম কম ছিল। অন্যান্য সময় হলে এই মাছগুলোর দাম কম হলেও ১০ লাখ টাকার উপরে হত।
হাতিয়া মৎস্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল গণমাধ্যমকে বলেন, হাতিয়ার সব বোট সমানভাবে মাছ পায় না। মেঘনা নদীতে মাছ নেই। তবে একেকজনের ভাগ্য একেকরকম। হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত ঘাট এলাকার জেলে মো. মাইনুদ্দিনের এফবি মমতাজ ৩০ মণ ইলিশ চেয়ারম্যান ঘাটে নিয়ে এসে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]