ভোলায় প্রেমিকের আত্মীয়ের বাড়ি প্রেমিকার আত্মহত্যা
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩
ভোলায় প্রেমিকের আত্মীয়ের বাড়ি প্রেমিকার আত্মহত্যা
ভোলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনা পাড়ে প্রেমিকের আত্মীয়ের বাড়িতে লিজা (২০) নামে এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।


গোপনে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়েন প্রেমিক-প্রেমিকা। এ সময় পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। পরে দুজনকে পুলিশ আত্মীয়র হেফাজতে দিলে প্রেমিক পালিয়ে যান। এরপর প্রেমিকের আত্মীয় বাড়িতেই লিজা নামে ওই তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।


২১ এপ্রিল, রবিবার সকালে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেয়ামূল্লাহ গ্রামের হাজী মঞ্জুরুল আলমের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।


তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


লিজা বেগম স্থানীয় একটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার প্রেমিকের নাম মো. সিয়াম। তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একজন ফায়ারম্যান। তার বাবার নাম মো. আলাউদ্দিন। সিয়াম লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করিমগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।


লিজার মৃত্যুর ঘটনায় তার বোন ফেরদৌস বেগম বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যার প্ররোচনা আইনে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় সিয়ামের মামা মঞ্জুরুল আলম ও মামি খুশি বেগমকে আটক করে পুলিশ।


মামলার বাদী ফেরদৌস বেগম জানান, ২০২২ সালে লিজার সঙ্গে আরিফুর ইসলাম নামে এক ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সাত দিনের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়।


গত এক বছর ধরে সিয়ামের সঙ্গে লিজার ইমোতে পরিচয় হয়। এরপর দুজন অনেক জায়গায় ঘুরতে যেত। গত শুক্রবার সকালে সিয়ামের সঙ্গে তজুমদ্দিনের স্লুইসগেট এলাকায় ঘুরতে যায় লিজা। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন কিশোর তাদের ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। রাতেই থানায় মুচলেকা দিয়ে সিয়ামের মামা মঞ্জুরুল আলম সিয়াম ও লিজাকে থানা থেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।


গত শনিবার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সিয়াম পালিয়ে যায়। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।


তজুমদ্দিন থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, লিজার মৃত্যুর ঘটনায় তার বোন পাঁচজনকে আসামি করে একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা আইনে মামলা করেছে। মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে সিয়ামকে। পুলিশ মামলার ৪ ও ৫ নম্বর আসামি তার মামা ও মামিকে আটক করে। পরে ফেরদৌসের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।


জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার তাদের আদালতে তোলা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com