
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় প্রতি কেজি শসা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র এক টাকায়। এতে লোকসানে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার চাষীরা। রমজান এলেই বাজারে শসার ভালো দাম থাকে এবারও ব্যতিক্রম ছিল না। তবে রমজান শেষ হওয়ার সাথে সাথেই হুট করে শসার দামে ধস নামে। ফলে উৎপাদন করেও ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন চাষীরা।
কৃষকরা বলছেন, বর্তমান বাজারে পাইকারদের কাছে এক থেকে দেড় টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। প্রতি বিঘা জমিতে শসা উৎপাদন করতে আনুমানিক ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু শসা বিক্রি করে যা অর্থ আসছে খাজনা ও পরিবহন করতেই তার থেকে বেশি ব্যয় হচ্ছে। ফলে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে বলেও জানান কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর খানসামা উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ জমির ফসল তোলা শুরু হয়েছে।
উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের মৌলভীমোড় এলাকার কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, অন্যের কাছে লিজ নেয়া জমিতে আশা করে শসা লাগিয়েছিলাম। কিন্তু এখন উৎপাদন খরচের অর্ধেকও উঠছে না। কি করবো বুঝতে পারছি না।
উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকার কৃষক গজেন্দ্রনাথ রায় বলেন, এ বছর শসার ভালো ফলন হয়েছে। আশা করেছিলাম লাভ হবে হয়তো কিন্তু শসা তুলতে যা খরচ সেটাই উঠছে না বিক্রি করে। লাভের আশায় চাষ করে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক শহর পাকেরহাটের পাইকারী ব্যবসায়ী রাসেল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারে শসার যথেষ্ট আমদানি হচ্ছে। এদিকে ক্রেতাদেরও সেরকম চাহিদা নেই। তাই এক থেকে দেড় টাকা কেজি দরে শসা কিনছি।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবা আক্তার বলেন, বর্তমান বাজারে চাহিদার বিপরীতে শসার সরবরাহ কয়েক গুণ বেশি হওয়ার কারণে শসার দাম কমে গেছে। আর এতেই কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বিবার্তা/জামান/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]