
টাঙ্গাইলের সখিপুরে ঈদের দিন সুমনা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূ বিয়ের সাত বছর পর একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নেওয়ায় শিশুগুলোকে বাঁচানো যায়নি। তিনি সখিপুর উপজেলার কালমেঘা সলঙ্গা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী।
১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দুপুরে মির্জাপুরের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ম হওয়ার পর শিশুগুলো মারা যায়।
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রবাসী ফরহাদ মিয়ার মামা শাহজাহান জানান, ভাগনের স্ত্রী সুমনা প্রায় ৫ মাসের গর্ভবতী ছিল। ঈদের দিন সকালে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সুমনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ৭ নম্বর বেডে চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ছয়টি সন্তানের নরমাল প্রসব করান। ৬ সন্তানের মধ্যে ৪ জন মেয়ে ও ২ জন ছেলে সন্তান। তবে কোনো সন্তানই বেঁচে নেই। পরে বিকেলের দিকে ৬ সন্তানকে বাড়িতে আনা হলেও তাদের মা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সখীপুরের বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা জানান, ৬ শিশু জন্মের বিষয়টি শুনেছি। জন্মের পরেই শিশুগুলো মারা গেছে।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভোমিক লিটন জানান, ওই নারী প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে নরমালভাবে ৬ সন্তানের জন্ম হয়। সময়ের অনেক আগেই সন্তান জন্ম হওয়ায় কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ওই নারী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]