জমে উঠেছে সীমান্তবর্তী হিলির ঈদ বাজার
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩১
জমে উঠেছে সীমান্তবর্তী হিলির ঈদ বাজার
হিলি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আর মাত্র কয়েকদিন পরে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষ্যে জমে উঠেছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা হাকিমপুর হিলির ঈদ কেনা কাটা।


নতুন পোশাকে ঈদ কাটবে, এমন প্রত্যাশায় দিনের গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতারা আসছেন তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের বাড়তি চাপ। অপর দিকে দিনে গরম তাই সন্ধ্যার নামার সঙ্গে সঙ্গে নারী ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।


৩ এপ্রিল, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হিলি বাজারের, বিভিন্ন দোকান ঘুরে ক্রেতাদের বাড়তি চাপ দেখা গেছে।


এবারে রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকেই লোকজন ঈদের জন্য নতুন পোশাক তৈরি করতে শুরু করেছে। সেই সাথে কেনাকাটাও শুরু হয়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বাজার ততই জমে উঠছে।


অন্যান্য বারের মতো এবারও মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জমজম, নায়রা, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন নামের ভারতীয় থ্রি পিস, টু-ড্রেসার এবং সুতি কাপড়।


পাশাপাশি ছেলেদের রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি, টি শার্ট, জিন্সের প্যান্টসহ অনেক পোশাক। দেশি পোশাকের পাশাপাশি হিলির বাজারে ভারতীয় পোশাকও রয়েছে। শিশু থেকে শুরু করে তরুণীদের এসব পোশাকের প্রতি বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে।


তবে পোশাকের আকাশছোঁয়া দামে বেকায়দায় আছেন ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষ মার্কেটে এসে পোশাক কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। চড়া দাম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক ক্রেতা। তবে দোকানিরা বলছেন সবকিছুর দাম অনেক বেশি। সেই তুলনায় পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।


হিলি বাজারে দেশি-বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি ক্রেতারা এখানে মেলাতে পারছেন কসমেটিক সামগ্রী। আর তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারও বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট থেকে অনেকে ভিড় জমিয়েছেন হিলিতে।


তৈরি পোশাক বিপণীগুলোতে শোভা পাচ্ছে বাহারি পোশাক। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে থ্রি পিস ৮০০/১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫/৭ হাজার টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। পাঞ্জাবি ১০০০-১২০০ থেকে ২০০০-২৫০০ টাকা এবং শিশু ও বাচ্চাদের পোশাক ৭০০ টাকা থেকে ১৫০০-২০০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও থান কাপড় ও গজ কাপড়ের দোকানগুলোতে ও ক্রেতাদের সমাগম দেখা গেছে। জুতার দোকানেও ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।


হিলি বাজারে ঈদের পোশাক কিনতে আসা উপজেলার ধাওয়ানশীপুর গ্রামের কাওসার রহমান বলেন, আমরা গ্রামগঞ্জের সাধারণ কৃষক মানুষ। বাজারে আসছি ঈদের কাপড় কিনতে। কিন্তু এখানে এসে হিসেব মিলাতে পারছি না। আবার ঈদে ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক না দিলেও না। কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তারপর ছেলের পাঞ্জাবি নিলাম, আর মেয়ের কাপড় বানাতে দিয়েছিলাম তা নিলাম।


হিলি বাজারে পলাশবাড়ী থেকে আসা ঝর্না আক্তার বলেন, আমি নিজে চাকরি করি আমার স্বামী ও চাকরি করে। আমি জানি হিলি বাজারে ভারতীয় নিত্যনতুন পোশাক, কসমেটিক পাওয়া যায়। তাই এবারও এসেছি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তাদের পছন্দের কাপড় ও কসমেটিকস কিনতে।


জয়পুরহাট থেকে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, হিলি বাজার থেকে ভারতীয় জুতা ও ছোট বোনের জন্য কসমেটিক কিনতে এসেছি।


হিলি বাজারের আজিজ বস্ত্রালয় এর মালিক বলেন, এবার ঈদে ভারতীয় থ্রি পিসের চাহিদা বেশি কিন্তু বর্ডার পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় চাহিদা মাফিক থ্রি-পিস পাচ্ছি না। তবে থান কাপড়, পাঞ্জাবিসহ বেচা বিক্রি বেশ জমে উঠেছে। আশা করি শেষের দিকে বেচা-বিক্রি আরও বেশি হবে।


হিলি বাজারের তোহা কসমেটিকসের স্বত্বাধিকারী তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, রোজার প্রথম এর দিকে তেমন বেচা-কেনা ছিল না। তবে এখন আগের চেয়ে বেচা-কেনা অনেক বেড়েছে। আশা করছি বেচাকেনা আরও বাড়বে।


প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হিলিতে গাড়ি নিয়ে পোশাক কিনতে আসছেন ক্রেতারা। তবে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় এ দু-দিন বেশি লোকজন আসে।


হিলি বাজারের জুতা দোকানের মালিক জুয়েল রানা বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে হিলি বাজারে বেচা-বিক্রি বেড়েছে। এবারের ঈদে ভারতীয় জুতার চাহিদা রয়েছে।


বিবার্তা/রববানী/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com