গাইবান্ধায় সন্তানসহ রেললাইনে আত্মহত্যা করতে আসা এক গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় কলেজছাত্রসহ দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে।

১ এপ্রিল, সোমবার সকালে গাইবান্ধা জেলা শহরের মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় কোলের সন্তানটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে গুরতর আহত হলেও শিশুটি জীবিত রয়েছে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় রাজিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূ সন্তান কোলে নিয়ে রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্র জুবায়ের রহমান জামিলও নিহত হয়েছেন। কিন্তু গৃহবধূকেও আর বাঁচানো যায়নি।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকালের দিকে গাইবান্ধা শহরের আদর্শ কলেজ সংলগ্ন রেল লাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত কলেজছাত্রের নাম নাজিউল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার বাড়ি জেলার সাঘাটা উপজেলায়। তার এ বছর গাইবান্ধার এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ও মৃত ওই গৃহবধূ মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ারের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ওই গৃহবধূ মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে অপেক্ষা করছিলেন। এক পর্যায়ে ট্রেন আসতে দেখেও ওই গৃহবধূ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় কলেজছাত্র নাজিউল তাকে লাইনের ওপর থেকে সরানোর জন্য হাত ধরে টানতে থাকে। উভয়ের টানাটানিতে এক পর্যায়ে ট্রেন দুজনকেই ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

গৃহবধূর সঙ্গে থাকা দুই বছরের শিশুটি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে গুরতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে বাচ্চাটির অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবার্তা/জবা