হাকিমপুর ভূমি অফিসে একই পদে ৬ বছর ধরে ৫ জন
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৩
হাকিমপুর ভূমি অফিসে একই পদে ৬ বছর ধরে ৫ জন
হিলি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে ৬ বছর ধরে একই স্থানে কর্মরত রয়েছেন ৫ জন। ভূমি অফিসের মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী ২ জন, নাজির কাম ক্যাশিয়ার ও জারিকারকসহ দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে ডালপালা মেলেছেন তারা।


কোনো সরকারি কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে তিন বছরের অধিক সময় থাকতে পারবেন না। সরকারের এমন নীতিমালা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না হাকিমপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে।


১ এপ্রিল, সোমবার সকালে ভূমি অফিসে গিয়ে জানা যায়, হাকিমপুর (ভূমি) অফিসে ২০১৮ সালে হতে মিউটেশন কাম সার্টিফিকেট সহকারী পদে সোলায়মান আলী ও মোসাদ্দেক হোসেন কর্মরত আছেন। এছাড়া মোফাজ্জল হোসেন (জারিকারক), সেকেন্দার আলী (জারিকারক), শহিদুল ইসলাম শাহীন (চেইনম্যান) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।


হাকিমপুর উপজেলা ভূমি অফিসে উল্লিখিত কর্মরত ব্যক্তিগণ সকল প্রকার নিয়ম-বিধি ভঙ্গ করে নিজস্ব নিয়মে ইচ্ছামতো দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত করছেন। দীর্ঘদিন একই উপজেলায় থাকায় অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন। এতে করে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই।


হাকিমপুর উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির-কাম-ক্যাশিয়ার কর্মকর্তা মো. সোলায়মান আলীসহ অনেক কর্মরত ব্যক্তি একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে কিছু আধিপত্য তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক! তবে তারা দাবি করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ রাখলে আমাদের কিছু করার নেই।


হাকিমপুর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার মোসাদ্দেক হোসেন (শিক্ষক) অভিযোগ করে বলেন, কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন উপজেলা ভূমি নাজির কাম ক্যাশিয়ার সোলায়মান আলী। তিনি বলেন, আমি অতিরিক্ত টাকা (ঘুষ) দিতে না পারায় আমার খারিজটি হয় নাই।


উপজেলা ভূমি অফিসে হয়রানির স্বীকার মিজানুর রহমান নামে আরেকজন বলেন, খাজনা খারিজ এর বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসে আসলে নাজির কাম ক্যাশিয়ার সোলায়মান আলী টাকা ছাড়া কথা বলতে চায় না। টাকা দিতে অস্বীকার করলে কাগজ এর অনেক ভুল বাহির করে বলে আগামী দিনে আসেন। এক কথায় টাকা ছাড়া সে কিছুই বুঝেন না।


এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) লায়লা ইয়াসমিন বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী একই স্টেশনে ৩ বছরের অধিক থাকার নিয়ম নেই। এরপরও ভূমি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলির বিষয়টি জেলা প্রশাসককে হাতে। তাই বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারকে অবগত করা আছে। এ বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক মহোদয় নিবেন।


বিবার্তা/রববানী/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com