পিরোজপুরে সুপারি পাচারের মামলায় শাহজাহান হাওলাদার (৬০) নামের এক চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

১৮ মার্চ, সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও উপজেলার তুষখালী ইউপি চেয়ারম্যান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা থেকে দেড় কোটি টাকার সুপারিসহ তিন জনকে আটক করা হয়। জব্দ করা এসব পণ্য ভারতে পাচারের উদ্দেশে বহন করা হচ্ছিল। এ সময় ট্রলারে থাকা মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার পালিয়ে যান। তবে আটক হন মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার সেকেন্দার মাঝির ছেলে মো. হারুন মাঝি (৬০), একই এলাকার আব্দুল খালেক হাওলাদারে ছেলে অলি হাওলাদার (২৮) এবং মো. ফয়েজ হকের ছেলে নূর নবী মাঝি (৩২) (এদের মধ্যে হারুন মাঝি তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান)। এ ঘটনায় পুলিশ শাহজাহান হাওলাদারসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় তখন শাহজাহান হাওলাদার উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। পরে আজ তার জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।

এলাকাবাসী জানান, তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের বিরুদ্ধে নৌপথে চোরাই মালামাল ভারত ও বাংলাদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের হাতে চোরাই ভারতীয় শাড়ি, কাপড়সহ পণ্য উদ্ধারের ঘটনায় শাহজাহান হাওলাদারের নাম সংবাদপত্রে এর আগেও ছাপা হয়েছিল।

বিবার্তা/তাওহিদুল/এমজে