
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় ১৯ বছর আগে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সালমা আক্তারকে হত্যা করে স্বামী লাল চাঁন ওরফে রবিন (৪২)। হত্যার অপরাধে বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হোন লাল চাঁন। তার পর থেকে পলাতক ছিলেন আসামি লাল চাঁন।
অবশেষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লাল চাঁন ওরফে রবিনকে ১৯ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪ এর একটি ইউনিট।
১৮ মার্চ, সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-৩ র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
গ্রেফতার লাল চাঁন জেলার সিংগাইর উপজেলার শ্যামনগর এলাকার করিম গাজির ছেলে। প্রথম স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং বর্তমানে তার পরিবারে রানী নামে এক মেয়ে আছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০০ সালের জুন মাসে পারিবারিকভাবেই লাল চাঁন ও সালমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর্যন্ত তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিল। বিয়ের কিছুদিন পর লাল চাঁন নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন এবং সালমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেন। সালমার মা যৌতুকের টাকা দিতে পারবেন না বলে লাল চাঁনকে বুঝিয়ে বলেন। নেশার টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন লাল চাঁন।
এরপর ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সালমা আক্তারের মৃত্যু হয়। পরে সালমার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখেন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের পর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত লাল চাঁনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ের পর থেকে তিনি (লাল চাঁন) পলাতক ছিলেন এবং ১৯ বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশ জীবন কাটিয়েছেন। অবশেষে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিপিসি-৩ র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল লাল চাঁনকে গ্রেফতার করে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]