
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কৃষকের বসতভিটা। আগুনে নগদ টাকা ও ঘরের আসবাবও পুড়েছে বলে জানা গেছে।
১৬ মার্চ, শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ধুলিয়া গ্রামের কৃষক ওমর ফারুকের বসতভিটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওমর ফারুক ওই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ফোন দিলেও রিসিভ করেননি ফায়ারসার্ভিস দফতর। ৯৯৯ নম্বরে কল করেও মেলেনি ফায়ার সার্ভিসের সেবা।
আজিজুর রহমান নামে ওমর ফারুকের এক স্বজন জানান, সকালে ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এ সময় ঘরের ভিতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। পরে আগুন পুরো বসতভিটায় ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি দাবি করেন, বেশ কয়েকবার হরিণাকুণ্ডু ফায়ারসার্ভিসের নাম্বারে ফোন করেন কিন্তু তারা রিসিভ করেননি। পরে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। এরপর ফায়ারসার্ভিস থেকে তাদের ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই পুরো বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জুয়েল নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, আগুন লাগার পর ফায়ারসার্ভিসকে ফোন দিয়ে না পেয়ে গ্রামবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ওমর ফারুক জানান, আগুনে তার ঘরে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা, আসবাব, টিভি, ফ্রিজ, ঘরের টিনের চালাসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। এতে তার প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু ফায়ারসার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন ফোন না ধরার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা আমাদের জরুরি সেবার নাম্বারটা পরিবর্তন করেছি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে নতুন নাম্বার দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত তারা আগের নাম্বারে ফোন করে পাননি। পরে ঢাকা থেকে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছানোর আগেই ওই আগুন নিভে গেছে বলে জানতে পেরে আমরা ফেরত এসেছি।
বিবার্তা/রায়হান/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]