দৌলতপুরে প্রভাবশালীদের দখল ও দূষণে মৃতপ্রায় হিসনা নদী
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ২০:০১
দৌলতপুরে প্রভাবশালীদের দখল ও দূষণে মৃতপ্রায় হিসনা নদী
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দখলে ও দূষণে সরু খালে পরিণত হয়েছে এক সময়ের প্রবাহমান হিসনা নদী। পদ্মা নদীর শাখা নদী হওয়ায় এই নদী দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা চলাচল করতো। অবৈধ দখলদারদের দখলের ফলে সেই নদী তার চির চেনা রূপ ও গতিপথ হারিয়েছে। নদীপাড়ে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা ও বসত বাড়ি হিসনা নদীকে গিলে খেয়েছে।


নদীর যেটুকু গতিপথ আছে তাও দখলদারদের গড়ে তোলা শিল্পকারখানার ও বসত বাড়ির বর্জ্যে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নদীর দূষিত ময়লা পানি ও আবর্জনার দুর্গন্ধে সর্বদা অতিষ্ঠ থাকেন নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ। নদীর গতিপথ ও নাব্যতা ফিরাতে দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবি ভুক্তভোগী নদী পাড়ের মানুষ ও এলাকাবাসীর।


দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি থেকে শুরু করে আল্লারদর্গা হয়ে ভেড়ামারার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হিসনা নদীতে দৌলতপুরের বিভিন্ন স্থানে দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে শিল্প কারখানা ও বসত বাড়ি। উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকার শিল্প মালিকরা হিসনা নদী দখল করে গড়ে তুলেছেন শিল্প কারখানা। আবার শিল্প কারখানা বর্জ্য ফেলা হয় নদীর অবশিষ্ট অংশে। একইভাবে আল্লারদর্গা বাজার ও পশুহাটের সব বর্জ্য ফেলা হয় হিসনা নদীতে। ফলে ময়লা ও বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নদীপাড়ের মানুষ। তারা চান নদী শোষণ ও দূষণমুক্ত এবং শাসন করে নদীর গতিপথ ফেরানো হোক।


২০২২ সালে মহিষকুন্ডি থেকে তারাগুনিয়া ফারাকপুর পর্যন্ত ৮ কি. মি হিসনা নদী প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হলেও তা কোন কাজেই আসছেনা। কারণ খনন করা অংশের বিভিন্ন স্থানে দখল করে বাঁধ দিয়ে চাষ করা হচ্ছে মাছ। ফলে নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আবার অনেকে নদী ভরাট করে সেখানে গড়ে তুলছেন বসত বাড়ি আবার কেউ করছেন চাষাবাদ। দেখার কেউ না থাকায় এসব অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে হিসনা নদী।


আল্লারদর্গা এলাকার সচেতন নাগরিক খন্দকার জালাল উদ্দিনসহ এলাকাবাসীর দাবি হিসনা নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত এবং খনন করে নদীর গতিপথ ফেরানো হোক। নদীর দুই পাড়ে পরিকল্পিতভাবে সবুজ বনায়ন করার পাশাপাশি নদীর পানি কৃষিকাজে ব্যবহার হলে কৃষি সমৃদ্ধ হবে। বাড়বে ফসলের উৎপাদন।


হিসান নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করার বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান জানান, হিসনা নদী খনন কাজের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে। দখল উচ্ছেদ করে ৪২ কি. মি. হিসনা নদী খনন করা হবে এবং তাতে করে হিসনা নদী পুনঃজীবন ফিরে পাবে।


দখল ও দূষণমুক্ত করে খনন হলে আবারও পূর্বের মত হিসনা নদী তার হারানো যৌবন ফিরে পাবে এমনটাই প্রত্যাশা নদীপাড়ের মানুষ ও এলাকাবাসীর।


বিবার্তা/শরীফুল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com