
পৌনে সাত বছর আগে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১৫ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ৪ রোহিঙ্গাসহ ১২ জনকে সাজা দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
১১ মার্চ, সোমবার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন সিকদার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- নজির আহম্মেদ, মো. হাসেম, মো. ছাদেক, খায়রুল আমিন, মো. জাফর, মো. খোকন, মো. ইসমাঈল, আনিসুর রহমান, আবদুল খালেক, সাদ্দাম হোসেন, নুর আলম ও মো. সেলিম প্রকাশ মলয়।
এদের মধ্যে খালেক, সাদ্দাম, আলম ও সেলিম মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারের আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা। তারা টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ জুন কর্ণফুলী নদীর মোহনায় ‘এফভি মায়ের দোয়া’ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে ১৫ লাখ ইয়াবাসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) ময়নাল হক বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মাদক আইনে মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর পিপি এম এ ফয়েজ জানিয়েছেন, অভিযোগপত্র দাখিল ও অভিযোগ গঠনের পর ২১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত রায় দিয়েছেন। এতে ১২ আসামির প্রত্যেককে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
দণ্ডিত ১২ জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলার প্রধান আসামি বোট মালিক নজির আহমদ মৃত্যুবরণ করায় তাকে আসামি তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
মামলার নথি অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে সাগর পথে মাছ ধরার ট্রলারে করে ইয়াবার চালান চট্টগ্রামে আসছে- এমন তথ্য পায় র্যাব-৭। ২০১৭ সালের ২৩ জুন সন্ধ্যায় পতেঙ্গা থানার কয়লার ডিপো এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলট জেটিতে পৌঁছালে ট্রলারটি আটক করা হয়।
‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামের ওই ট্রলার থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রলারের কাঠের পাটাতনের নিচ থেকে ১৫টি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ১৫ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব।
আটকের পর ট্রলার মালিক নজির আহমদ জানায়, ইয়াবা চালানটির মালিক চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ফারুক ওরফে বাইট্যা ফারুক নামের এক ব্যক্তি।
নজির আহমদ ও ফারুক দুজন মিলে ১১ লাখ টাকায় মাছ ধরার ট্রলারটি কেনেন বলেও জানিয়েছিলেন নজির। আটক হওয়ার এক মাস আগেও পাঁচ লাখ ইয়াবার আরেকটি চালান নিয়ে আসার কথা র্যাবকে জানিয়েছিলেন নজির।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি ময়নাল হক বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। তবে তদন্তে ফারুকের কোনো হদিস পায়নি পুলিশ।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই এ মামলায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]