
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া সৈয়দশাহ রোড এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের হিমাগারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি স্টেশনের ১০টি ইউনিট প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ২টা ০৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
১ মার্চ, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া সৈয়দশাহ রোড এলাকায় তাজা মাল্টাপারপাস কোল্ড স্টোরেজে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
কোল্ড স্টোরেজটি নির্মাণাধীন অবস্থায় থাকায় সেখানে প্রচুর পরিমাণে কাঠ ও ককশিট ছিলে, যার ফলে দ্রুত আগুন ধরে যায়, ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চারপাশ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। অনেকে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক এম ডি আব্দুল মালেক বলেন, বেলা ১১টার দিকে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন হিমাগারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে তিনটি স্টেশনের দশটি ইউনিট কাজ করে। এর মধ্যে আগ্রাবাদ স্টেশন থেকে ছয়টি, চন্দনপুরা স্টেশন থেকে দুটি এবং লামার বাজার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুনে কেউ হতাহত হয়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ২ টা ০৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
নজরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, নতুন নির্মাণাধীন ভবনে হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছিল। কাঠ এবং ককশিটের সাহায্যে এ হিমাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। ভয়াবহ আগুনে পাশের ভবনে থাকা ১০-১২ জন বাসিন্দা ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
নগরীর লামারবাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন করে হিমাগারটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। হিমাগার নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছিল কাঠ এবং ককশিট। কাঠ এবং ককশিটের কারণে আগুনের মাত্রা বেড়ে যায়। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশি সময় লাগে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]