বাগেরহাট সদর উপজেলায় সড়ক থেকে নকিব আকবর আলী নামে (৭২) এক আওয়ামী লীগ নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুনিগঞ্জ সেতু টোলপ্লাজারসংলগ্ন সড়কের ওপর থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নকিব আকবর আলী সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

জানা গেছে, নকিব আকবর আলী আদালতে মামলার কাজ শেষে রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পরে টোলপ্লাজারসংলগ্ন সড়কের ওপর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নকিব আকবর আলীকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারীদের দাবি, হাজার পাটগাতি আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর নকিব আকবর আলীর রক্তাক্ত দেহ এবং তার মোটরসাইকেল পড়েছিল। পরে তারা একটি ইজিবাইকে করে নকীব আকবর আলী এবং তার মোটরসাইকেল বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।

তাদের ধারণা, আকবর আলী মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন।

নকীব আকবর আলীর জামাতা অ্যাড. এনামুল হোসেন বলেন, এটা একটা হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তার চোখ, কপাল ও মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অনেক শত্রু রয়েছেন, তারাও এই ঘটনা ঘটাতে পারেন। তদন্ত করে সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটনের দাবি জানান তিনি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, এটি হত্যা বা দুর্ঘটনা কোনোটিই স্পষ্ট করে বলতে পারছি না। তদন্তপূর্বক এই মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য পুলিশের ভূমিকা রাখতে হবে। অপরাধী যদি অনেক বেশি ক্ষমতাধর হলেও তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তার মৃত্যুতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্শা সানজানা বলেন, নকিব আগবর আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) সুব্রত কুমার সরদার বলেন, মৃতদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি।

বিবার্তা/মাসুম