
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন সালমা খাতুন।
এ ঘটনায় নিতুকে শাস্তির আওতায় আনতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ঘটনার বিতরণ দিয়ে শাস্তির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী সালমা খাতুন (২৪) আটক হন।
তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
এ ঘটনায় মূল দোষী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত পরীক্ষার্থী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানায় স্থানীয়রাসহ সচেতন মহলের মানুষ।
সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিন্ধা দাস বলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল ও জরিমানা করা হয়েছিলো। মূল দোষী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]