মহেশপুরের ‘বালিশ মিষ্টি’র যশ দেশ পেরিয়ে এখন বিদেশে
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৯
মহেশপুরের ‘বালিশ মিষ্টি’র যশ দেশ পেরিয়ে এখন বিদেশে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বালিশ মিষ্টি! নাম শুনেই মনের ভেতর কেমন একটা খটকা লাগছে। কিন্তু বাস্তবতা এমনই। কারিগর নিজেই এ মিষ্টির নামকরণ করেছেন। নামের স্বার্থকতার সাথে মিলিয়ে দেখতে গেলে মিলবে এক বিশালাকার, ব্যতিক্রমী ও সুস্বাদু এ মিষ্টি। বিস্ময়করভাবে এক একটির ওজন এক কেজি।


ঝিনাইদহের অজপাড়াগাঁয়ের এ মিষ্টির সুখ্যাতি জেলায় ছড়িয়েছে বহু আগেই। এখন এ আলাদা ধরনের মিষ্টির যশ ছড়িয়ে পড়ছে বিদেশেও।


জানা যায়, জেলা শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুরের ভৈরবা বাজার। সপ্তাহে দুই দিন শনি ও মঙ্গলবার বাজার বসে। দুপুর ২টার পর থেকে জমতে থাকে বাজার। বিকিকিনি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এ বাজারে গত ৩৫ বছর মিষ্টি বিক্রি করেন হযরত আলী। তার নিজে হাতে তৈরি বালিশ মিষ্টি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। বিশালাকার পাত্রে কয়েক ধরনের মিষ্টি বিক্রি করেন হযরত। তবে একটিতে থাকে ১ কেজি ওজনের ভিন্নধর্মী বালিশ মিষ্টি। আর অন্যগুলোয় চলে রসগোল্লা, চমচমসহ অন্যান্য মিষ্টি। বাজারে মিষ্টির দোকান বশে কয়েকটি থাকলেও তার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। ব্যতিক্রমী, সুস্বাদু এ মিষ্টি শুধু কিনছেন না! অনেকে দোকানে বসেই নিচ্ছেন সুস্বাদু এই মিষ্টির স্বাদ।


ঝিনাইদহ শহরের রফিকুল ইসলাম জানান, এখানে একটি কাজে এসেছিলাম। কাজ শেষ করে বাজারে এসে ব্যতিক্রমী এ মিষ্টি পেয়ে গেলাম। ২ কেজি ওজনের বালিশ মিষ্টি বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি।


বাজারের আরেক দোকানদার রহমত মিয়া জানান, ১৯৭১ সাল থেকেই হযরত আলীর পিতা আজিজুল ইসলাম এ বাজারে মিষ্টি বিক্রি শুরু করেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরের সামান্তা কুটিপাড়া গ্রামে। তার মিষ্টির সুনাম এখন দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।


মূল কারিগর হযরত আলী জানান, নিজের থেকেই তিনি এ মিষ্টি তৈরি করেছেন। মানুষের মাঝে দিন দিন চাহিদা বাড়ায় তিনি এ মিষ্টি তৈরি করে যেতে চান। তিনি বলেন, ৩ ধরনের বালিশ মিষ্টি তৈরি করেন। আধা কেজি, ১ কেজি ও দেড় কেজি এবং দু’কেজি ওজনের। এ বাজারেও রকমভেদে তিনি ২৭ কেজি বালিশ মিষ্টি এনেছেন। কোন কেমিক্যাল ব্যবহার না হওয়ায় চাহিদা ব্যাপক। কখনই কোনো মিষ্টি থাকে না তার। প্রতিবাজারে তার বিক্রি প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা। উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেন ময়দা, চিনি,গরুর খাটি দুধ ও ছানা। দাম ৩০০ ও ৬০০ টাকা। এ মিষ্টির জেলা ব্যাপী সুখ্যাতি ছড়িয়েছে বহু আগেই।


গত কয়েকবছর দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মিষ্টি চলে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। আগত প্রবাসীরা যখন আবার ফিরে যান তখন তারা আলাদাভাবে অর্ডার দিয়ে মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। মিষ্টির মান ভালো হওয়ায় তা কমপক্ষে ৫-৭ দিন রেখে খাওয়া যায়।


বিবার্তা/রায়হান/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com