
মাঘ মাসের শেষ দিকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। একদিনের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা কমে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
আর সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৭ শতাংশ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার, চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
আর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। একই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ।
গত বুধবার জেলায় সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকালে সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ। একদিকে উত্তাপহীন সূর্য ও অন্যদিকে উত্তর থেকে ধেয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শুক্রবার ছুটির দিন হলেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কম।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গতকাল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি ছিল। আজ শুক্রবার তাপমাত্রা আড়াই থেকে তিন ডিগ্রি কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]