চাঁদার জন্য কুষ্টিয়ায় মিলন হোসেন নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তার ৮ টুকরো খণ্ডিত মরদেহ পদ্মা নদীর চর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নির্মম ও পাশবিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৫জনকে আটক করা হয়েছে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন মিলনের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা।

৩ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুরের পদ্মা নদীর চর থেকে মিলন হোসেনের ৮ খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ৩১ জানুয়ারি সে নিখোঁজ হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানায় মিলনের স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের সূত্র ধরে ঘটনায় জড়িত কুষ্টিয়া শহরের কুখ্যাত কিশোর গ্যাং নেতা এসকে সজিবসহ ৫জনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মিলনকে হত্যা করে হরিপুর এলাকায় পদ্মা নদীর চরে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে তারা। তাদের স্বীকারোক্তিতে পৃথক ৪টি স্থান থেকে নিহত মিলনের ৮ টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ।

এদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন বাবা মওলা বক্সসহ তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তারা নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

মিলন শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের মওলা বক্সের একমাত্র সন্তান ছিল। মিলনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশীরাও হতবাক। তারাও চায় এমন পাশবিক হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।

ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব বাহিরমাদি গ্রামে মিলনের মরদেহ নেওয়া হলে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে। তার কফিনবন্দি মরদেহ দেখতে ভিড় করেন তারা। সন্ধ্যায় পূর্ব বাহিরমাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে মিলনের দাফন সম্পন্ন হয়।

বাহিরমাদি গ্রামের মওলা বক্সের ৪ মেয়ে ও একমাত্র সন্তান ছিল মিলন হোসেন। অনলাইন ও আউট সোর্সিং ব্যবসায় জড়িত মিলন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় কয়েকমাস আগে বিয়ে করা নববধূকে নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। চাঁদার দাবিতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে অপহরণের পর হত্যা করে ৮টুকরো লাশ পদ্মার চরে পুঁতে রাখে। এমন হত্যাকাণ্ডে কুষ্টিয়া জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

বিবার্তা/শরিফুল/এমজে