
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে খাবারের সন্ধানে বের হয়ে আটকে পড়া গন্ধগোকুল নামের বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী অবশেষে মারা গেছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণীটি মারা যায়। পরে মৃত প্রাণীটিকে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী মানিকদিয়াড় গ্রামের মো. তারিফ আলীর বাড়িতে খাবারের সন্ধানে ঢুকে বাড়ির লোকজনের হাতে আটকা পড়ে ওই প্রাণীটি।
রাতভর আটকিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে আহত অবস্থায় শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের মাঠে ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখে তারা। খবর পেয়ে অসুস্থ ও আহত অবস্থায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাসেবা দেয় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা নাব্বির আল নাফিজ ও আহসান হাবিব বিদ্যুৎ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রাণীটিকে চিকিৎসা দেয়া শুরু করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিরল প্রজাতির ওই প্রাণী গন্ধগোকুল রাতে মারা যায়। তাদের ধারণা মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করার কারণেই প্রাণীটি মারা গেছে।
নাব্বির আল নাফিজ জানান, প্রাণীটি কটাশ বা ভাম বা কলকাট বা খাটাশ বা ছোট বাঘডাশ নামে পরিচিত। স্থানীয়রা একে গন্ধগোকুল নামে জানে।
গণমাধ্যম কর্মী সোহাগ জানান, অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা প্রাণীটির শরীর থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হচ্ছিল। প্রাণীটির নিরাপত্তার কথা ভেবে লোকালয়ে বের না করে একটি খাঁচার মধ্যে আটকিয়ে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে প্রাণীটি মারা যায়।
উল্লেখ্য, গন্ধগোকুল অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। দিন দিন গাছ-পালা ও বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় এসব প্রাণীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিশ্ব প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে এই প্রাণীটি। বাংলাদেশে ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী গন্ধগোকুল প্রাণী সংরক্ষিত একটি প্রজাতি।
বিবার্তা/শরীফুল/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]