বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলি, ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৮
বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলি, ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরকান আর্মির আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত ঘেষা এলাকার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।


২৯ জানুয়ারি, সোমবার সকাল থেকেই ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছে বলে জানান ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ।


তিনি বলেন, মাঝখানে কিছুদিন গোলাগুলি বন্ধ ছিল। শনিবার থেকে আবারও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও এলাকার লোকজনকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।


ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) থেকেই মিয়ানমারের ভেতরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আজ আবারও ৩৩ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রুপশ্চিম কূলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সকাল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।


নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, সকাল থেকে মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির কারণে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকূল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হোসাইনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্থানীয় জনসাধারণ যদি নিরাপত্তার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে চলে অন্যত্র চলে আসে তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ত্রাণ সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com