টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাহার আহমেদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণ সভায় আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়।


২৫ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।


স্মরণ সভায় বক্তারা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও তার সহধর্মিণী নাহার আহমেদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, নেতাকর্মীদের ভালোবাসার আস্থার প্রতীক ফারুক আহমেদকে কেউ হত্যা করা হবে, এটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।


বক্তারা বলেন, প্রবীণ এই নেতা হত্যার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বিচার হচ্ছে না। বক্তারা বলেন এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের নাম প্রকাশ করেছেন। দ্রুত এ মামলার নিষ্পত্তির দাবি জানান তারা।


জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের জোয়াহেরের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ,জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদার বিপ্লব প্রমুখ।


এ সময় জেলা, উপজেলা, শহর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালে এই মামলায় জড়িত থাকা সন্দেহে আনিছুল ইসলাম রাজা এবং মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে।


আদালতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যা মামলার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা’র জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।


৩ বছর তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার চার ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। পরে হত্যা মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এ সাংসদ। ৩ বছর কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তার ছোট ভাই সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি এখনও কারাগারে আছেন। অন্য দুই ভাই কাকন ও বাপ্পা পলাতক রয়েছেন।


এদিকে, গত ২৯ ডিসেম্বর ফারুক আহমেদের সহধর্মিনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাহার আহমেদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।


বিবার্তা/ইমরুল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com