
চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। একদিকে যেমন তীব্র ঠান্ডা, অন্যদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি জনজীবনে নিয়ে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
২৪ জানুয়ারি, বুধবার দুপুরের পর থেকেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বৃষ্টি থাকায় রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসেনি। দু-একজনকে ছাতা মাথায় বাইরে আসতে দেখা গেছে।অসময়ে বৃষ্টির কারণে কৃষকরা আছেন দুশ্চিন্তায়। তারা ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, মাঠে মাঠে এখন বোরো ধান রোপণ চলছে। এ সময়ে বৃষ্টিতে কৃষক কাজ করতে পারবেন না। বীজতলার ক্ষতিরও ভয় আছে। আলু, সরিষাসহ অন্য ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে সকালে শীতের মাঝে উঁকি দেয় সূর্য। কিন্তু কোনো উত্তাপ ছিল না তাতে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। এরপর বেলা দুইটার দিকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক রয়েছে। কিছু জায়াগায় আকাশ মেঘলা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গেল সপ্তাহে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর থেকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নিচে নামতে থাকে।
গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বিবার্তা/সাঈদ/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]