
কক্সবাজারে ফিশারিঘাটে এখনো নির্বাচনের আমেজ বিরাজ করছে। ১০ জানুয়ারি, বুধবার সকালে ফিসারিঘাটে গিয়ে দেখা যায় মাছ ধরার ট্রলারের আনাগোনা কম। এদিন বড় মাছের মধ্যে ৭ কেজি ওজনের একটি ভেটকি কোরাল ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
মাছটির বিক্রেতা বলেন, সকালেই মাছটি ধরা পড়েছে। ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি করে এর দাম পড়বে ৯ হাজার টাকা। এর ভেতরে যে সাদা পেটি আছে সেটি ছাড়া এর দাম পড়বে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি। কেউ মাছটি নিতে চাইলে কিছুটা দরদাম করে নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন থাকায় গতকালের মতো মাছ ধরার ট্রলার কম ভিড়েছে বলে এদিনও মাছের সরবরাহ ছিল কম। তবে রূপচাঁদা, ভেটকি, চিংড়ি, পোমা, টুনা, মাইট্যা-সুরমা, বাইম, ইলিশ, অক্টোপাসসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছও এদিন বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ফিসারিঘাটে সাগরে ধরা পড়া বিভিন্ন সাইজের ইলিশও এসেছে, তবে গতকালের চেয়ে ইলিশের সরবরাহ ছিল কম। এর মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের ইলিশই বেশি। বড় সাইজের ইলিশ এখনো কম ধরা পড়ছে। ট্রলারের মালিকরা জানালেন, ১০০ পিস ইলিশ সাইজ অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বড় ট্রলারগুলো থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা ছোট ট্রলারে করে মাছ কিনে আনেন তারাও বলেন, বর্তমানে ছোট আকারের ১ মণ ইলিশ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং বড় আকারের ১ মণ ইলিশ ১ লাখ টাকায় কেনা বেচা হচ্ছে।
এদিকে, কক্সবাজার ফিসারিঘাটে টুনা বা সুরমা মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, গুইজ্জা মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শাপলা পাতা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ কোরাল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লাল কোরাল ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, সামুদ্রিক পাঙাস মাছ ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ছাড়াও কক্সবাজার ফিসারিঘাটে খুচরাভাবেও মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে ক্রেতাদের কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আবারো ফিসারিঘাট জমজমাট হয়ে উঠবে জানান তারা।
বিবার্তা/ফরহাদ/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]