
জমে উঠতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গার ৩০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী সরোজগঞ্জ গুড়ের হাট। শুক্রবার ও সোমবার সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ হাট বসে। প্রতিহাটে বিক্রি হয় অন্তত কোটি টাকার গুড়।
ভরা শীতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গুড় কিনতে ব্যবসায়ীরা চুয়াডাঙ্গায় আসতে শুরু করেছেন। তবে এ বছর গতবছরের তুলনায় প্রতিকেজি গুড় ও পাটালির প্রকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, প্রকারভেদে প্রতি কেজি গুড় বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২১০ টাকা এবং প্রতি ভাঁড় গুড় ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পাটালি গুড় বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। প্রতি সপ্তাহে এ হাটে কোটি টাকার গুড় বেচাকেনা হয়।
ওজন ও প্রকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে দাম বেড়েছে এ বছর। সেই সাথে পাটালির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার কেনাবেচা বেশি হবে এমনটাই প্রত্যাশ হাট সংশ্লিষ্টদের।
গুড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর গুড়ের দাম বেড়েছে। ১২ থেকে ১৪ কেজি ওজনের এক জোড়া গুড়ের ভাঁড় ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটালি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এই হাটের গুড়ের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। গুড় ভেজালমুক্ত হওয়ায় কদর বেশি। গুড়ের দাম বেশি হলেও ভেজালমুক্ত গুড় কেনার জন্যই এই হাটে আসা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী এ হাটে গুড় কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গতবারের তুলনায় জেলায় গুড় উৎপাদন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গাছিরা পরম যত্নে চিনিমুক্ত গুড়-পাটালি উৎপাদন করে হাটে বিক্রি করে থাকেন। এ কারণে গুড়ের চাহিদা বেশি। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের দিকেও নজর রাখছি। কেউ ভেজাল গুড়-পাটালি বিক্রি করলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গেল অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জেলায় ১০০ টন গুড় বেশি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গত বছর এ হাটে ৪৮ কোটি টাকার গুড় কেনাবেচা হয়েছিল। চলতি বছর ৫০ কোটি টাকার গুড় কেনাবেচা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]