
অবশেষে ১৯২ দিন পর (৬ মাস) নিরাপত্তা হেফাজত রাখা ভারতীয় ১১ টি গরুর মুক্তি মিলেছে। ১৯২ দিন পর (৬ মাস) নিরাপত্তা হেফাজত রাখা হয়েছিল তাদের। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করে দিলেন আদালত।
জানাযায়, ২০২৩ সালের ২১ জুন গভীর রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা নাটীমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ১১টি ভারতীয় গরু আটক করে ঝিনাইদহ জেলা ডিবি পুলিশ ।
সেসময় আটক করা হয় মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেন, মো. সাদিসহ তিন চোরাকারবারীকে। আটক তিন চোরাকারবারীকে কারাগারে পাঠানো হলেও ১১টি গরু নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আবু সায়েম জানান, আদালতের কাছে আটক গরু গুলো নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু গরুর মালিকানা দাবি করে দুই ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা চলতে থাকে।
ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল আদালত থেকে মামলা গড়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। গরুর দাবিদার ওই দুই ব্যক্তি সঠিক কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। মামলায় হেরে যান তারা। এর আগেই গরু গুলো দেখ ভালের জন্য ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনোজ কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদর থানা চত্তরে একটি অস্থায়ী সেড নির্মাণ করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী আরো জানান, গরু গুলো পালন করতে এ পর্যন্ত পশু সম্পদ বিভাগ ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির জিয়াউর রহমান জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বর গরু গুলো নিলাম করার জন্য অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজন্ত বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যর একটি নিলাম কমিটি গঠন করে দেন। নিলামে অংশ নিতে শতাধিক ক্রেতা জড়ো হয়েছিলেন আদালত চত্ত্বরে।
নাজির আরো জানান, মঙ্গলবার ওই কমিটির পক্ষ থেকে আদালত চত্ত্বরে প্রকাশ্য নিলামে গরু গুলো ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক আজম, মো. ওয়াজিদুর রহমান ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম নবী।
বিবার্তা/রায়হান/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]