
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। ঘণ কুয়াশা না থাকলেও শীতল বাতাসের কারণে অনুভূত হচ্ছে শীত। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রাও কমেছে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বিড়ম্বনায় পরছে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষ ।
এমন বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশি-জ্বরে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় ভুগছে।
সদর হাসপতালসহ জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া এবং ঠান্ডা-কাশি জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এছাড়া বর্হিবিভাগে প্রতিদিন দেড়'শ থেকে দু'শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
কৃষক আবজাল হোসেন বলেন, আমাদের ভোরে মাঠ থেকে সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে আসতে হয়। কিন্তু কুয়াশার পানি যেন বরফ। সকালে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়।
চা দোকানি বজলু মিয়া জানান, চা বিক্রির জন্য ভোরে দোকান খুলতে হয়। এই শীতে ভোরে কেও বের হয়না। আবার শীতের কারণে মানুষ বেশি রাত পর্যন্ত বাইরে থাকে না। ফলে বেচাকেনাও কম।
রিকশা চালক আবুল হোসেন বলেন, পেটের তাগিদে শীতের সকালে রিকশা নিয়ে বাইরে বের হতে হয়। কাজ না করলে বাজার খরচ মেটানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। সকালে রাস্তায় মানুষ না থাকায় ভাড়া নেই বললেই চলে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস একই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি ) সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯ টা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]