রাজধানীর খিলক্ষেত ফুটওভার ব্রিজের নিচে একটি জিপ গাড়ি চাপায় নারী-শিশুসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন।
বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ইয়াসিন নামে আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় অপর তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে উজ্জ্বল পাণ্ডে (২৬) নামে এক যুবক এবং আমরিনা হক (৩৪) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। সুমন মিয়া নামের আরেক যুবক ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
আহতদেরকে উদ্ধার করে (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী হুমায়ুন কবির শিপন জানান, বাস প্রাইভেটকার ও মোটর বাইক ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। তিনি জানান আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে উজ্জ্বল পান্ডেকে রাত ১১ টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত উজ্জ্বল পান্ডের চাচা সাধন পান্ডে জানান, আমার ভাতিজা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ডিজাইনারের কাজ করত। রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার কাজীপাড়া গ্রামের মৃনাল পান্ডের ছেলে। বর্তমানে ভাটার নতুন বাজার এলাকায় স্ত্রী নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো তার স্ত্রী বর্ষা মন্ডল একমাত্র কন্যা সন্তান রয়েছে মাত্র দশ দিন বয়সী। দুই বোন একমাত্র ভাই সে ছিল বড়।
খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো জিপ গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীদের ওপর দিয়ে উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি। আহতদেরকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাঁদের ঢামেকে পাঠানো হয়। রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া প্রাডো জিপ গাড়ি ( ঢাকা মেট্রো-১৫-২৫৯১) ফুটওভার ব্রিজের নিচের আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের ওপর উঠে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আট বছরের শিশু ইয়াসিন মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশু ইয়াসিনের বাবা সুমন মিয়া, উজ্জ্বল পান্ডে ও আমরিনা হক গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে উজ্জ্বল পান্ডে ও আমরিনা হকের মৃত্যু হয়।
এসআই মোশারফ বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। জানা যায়, শিশু ইয়াসিনকে নিয়ে তার বাবা সুমন মিয়া নিকুঞ্জ এসেছিলেন। সে একটি মাদ্রাসায় পড়ত। ইয়াসিনের দাদা খিলক্ষেত এলাকায় চাকরি করেন। সুমন মিয়া ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া উজ্জ্বল পাণ্ডে ও অজ্ঞাত নারীর মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, খিলক্ষেত থেকে ৩ জনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরে উজ্জল ও আমরিনা হককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুমন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
বিবার্তা/বুলবুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]