আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে হামলা এবং আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
২৫ ডিসেম্বর, সোমবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা নির্বাচনি বিধি ভঙ্গ করে অপপ্রচার, কুৎসা রটনা ও নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে গালাগালি করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন।
জেলা সদরের সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই হারুন-অর-রশিদ স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে যোগ দিয়ে এবং স্থানীয় জামাত-বিএনপির কিছু লোকজন যুক্ত হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চক্রান্ত চালাচ্ছে।
গত ২৩ ডিসেম্বরের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, সেদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় যুবলীগের একটি মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং নৌকার প্রার্থীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও উত্তেজনা ছড়ানো হয়।
রাত আটটার দিকে ভান্ডারদহ গ্রামে নৌকার পক্ষে একটি মিছিল বের হয় এবং মিছিলের পেছনে ঈগল মার্কা স্বতন্ত্র প্রার্থী তার ব্যক্তিগত বডিগার্ড ও কয়েকজন কর্মী সমর্থকসহ গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন।
প্রার্থীর উপস্থিতিতে তার সমর্থক আবু তাহের বিশ্বাস একটি হ্যান্ডমাইক দিয়ে মিছিলের পেছন থেকে গালাগালি করতে থাকে এবং তাদের জন্য রাস্তা ছেড়ে দিতে বলে।
রাস্তা ফাঁকা হলে গাড়ি বহরটি কিছুদূর গিয়ে ভাণ্ডারদহ ত্রিমোহনী মোড়ে পৌঁছে রাস্তার ওপরেই মাইকে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন প্রার্থী। এতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ওই স্থান ত্যাগ করতে গেলে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর বডিগার্ড তাদের হাতে থাকা বিশেষ লাঠি দ্বারা এবং তাদের কর্মীরা অতর্কিত হামলা করে।
স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নৌকার প্রার্থী বলেন, ঘটনার সময় সেখানে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসআই হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত হন। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী অকথ্য ভাষায় পুলিশ সদস্যগণকে আমাদের কর্মীদেরকে আক্রমণ করার নির্দেশ দেয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো পুলিশ বিচার বিবেচনায় ওই প্রার্থীর নির্দেশ মেনে আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয় এবং মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ অবস্থায় সেখানে পৌঁছালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে একজনকে বাদী সাজিয়ে মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হারুন-অর-রশিদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূলহোতা আবু তাহের বিশ্বাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, এড. মুহা. শামসুজ্জোহা, সাবেক দফতর সম্পাদক এড. আবু তালেব বিশ্বাস, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক ও চুয়াডাঙ্গা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম শাহানসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা।
বিবার্তা/আসিম/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]