সপ্তাহজুড়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তরের হিম শীতল বাতাসে হাঁড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
২২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলিসয়াস। এর আগে গত রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোনা উত্তাপ। হিম শীতল বাতাস অনেকটা থামিয়ে দিয়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবন। শীতের সকালে তাদের কাজে-কর্মে বের হতে কষ্ট হচ্ছে।
এই আবহাওয়ায় জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সদর হাসপাতালসহ জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন শতাধিক শিশু রোগী ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে।
ভ্যান চালক রহিম মিয়া বলেন, ভোরে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু পেট তো চালাতে হবে। কিছুই করার নেই, যত শীত পড়ুক না কেন পেটের তাগিদে বের হতেই হবে।
ফেরিওয়ালা আব্দুল বলেন, এ শীতে গ্রামে ফেরি করতে খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসের চলাচল খুব দায় হয়ে পড়েছে।
শীতের প্রখরতা বাড়লেও জেলা প্রশাসন ও অন্য কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল শীতার্তদের জন্য এখনো কোনো শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এখন পর্যন্ত জেলায় ১৭ হাজার ৬৫০ টি কম্বল সরকারি ভাবে পাওয়া গেছে। যা জেলার চারটি উপজেলা ও পৌরসভায় পৌঁছে গেছে, কিন্তু এখনো বিতরণ করা হয়নি। খুব শিগগিরই শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের কর্মকর্তারা জানান, এরকম পরিস্থিতি আরও দুএকদিন থাকবে। আগামীদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]