দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ জমিতে সবজি চাষ হয়ে থাকে। শীতকালীন সবজিতে চুয়াডাঙ্গার বাজার এখন ভরপুর। তবে সবজির বাজার বেশ চড়া। সবজি কিনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলার স্বল্প আয়ের মানুষের।
এদিকে দর বেঁধে দিয়েও আলু ও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার। বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্য দুটি। ক্রেতাসাধারণের প্রশ্ন- দর বেঁধে দিয়ে কার কী লাভ হলো?
জেলার বিভিন্ন বাজার সূত্রে জানা গেছে, বড় আকারের প্রতিপিচ লাউ ১০০ টাকা, কেজিপ্রতি নতুন আলু (লাল) প্রকারভেদে ৮০/৯০ টাকা, সাদা আলু (প্রকারভেদে) ৬০/৭০ টাকা, পুরাতন আলু ৫০/৬০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, টমেটো ১১০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস (প্রকারভেদে) ৬৫/৬০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ৫০/৬০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৫০ টাকা আঁটি, গাজর ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পটোল ও ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে আর কাচা কলা। এক কেজি পেঁপে ৩০ টাকা আর কাঁচকলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি নতুন-পুরাতন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
সপ্তাহ খানেক আগে ডিমের দাম কিছুটা কম থাকলেও পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আবারও দাম বেড়েছে। পাইকারিতে ১২৬ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়ছে ১৪৪ টাকা।
দর্শনা রেলবাজারে সবজি কিনতে আসা ভ্যানচালক গফুর মিয়া বলেন, আমাদের মতো মানুষের জন্য মাছ-গোস্ত তো খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারে সবজির যা দাম তাতে কি কিনবো ভেবে পাচ্ছি না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তি বলেন, কোনো কিছু মেলাতে পারছি না। মধ্যবিত্তের সমস্যা হলো পেটে ক্ষুধা আর চোখে লজ্জা। সব কিছুর দাম লাগামহীন। বাজারে এসে দাম জিজ্ঞাসা করে কম রাখতে বললে দোকানিরা বলে নিলে নেন না নিলে চলে যান।
বিবার্তা/সাঈদ/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]