ফেনী জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে ৬ ডিসেম্বর ফেনী হানাদার মুক্ত হয়। এ জেলায় ৩১ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। এখানকার বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সবগুলো একই ডিজাইনে সংরক্ষণ করা হবে। নিয়মিত স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার সংরক্ষণ ও প্রকাশ করবে জেলাপ্রশাসন।
৬ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুরে খাজা আহম্মদ মিলনায়তনে ফেনী মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেন’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী কলেজের অধ্যক্ষ মোক্তার হোসেইন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের প্রমুখ।
এর আগে সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মৃতিস্তম্ভ থেকে বধ্যভূমি অভিমুখে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটি সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া সামাজিক সংগঠন তরুণ সংঘের দেড় শতাধিক সদস্য দাগনভূঞা উপজেলা থেকে ফেনী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পদযাত্রা করে ফেনী সরকারি কলেজের বধ্যভূমি মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সার্বিকভাবে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু ফেনী মহকুমা হানাদারমুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর।
এজন্য ৬ ডিসেম্বর ‘ফেনী মুক্ত দিবস’ পালিত হয়ে থাকে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে প্রথম ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিল।
বিবার্তা/মনির/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]