কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিয়ের ১৭ দিন পর আমেনা বেগম (২৩) নামে এক নববধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে ওই নববধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

৬ নভেম্বর, সোমবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেছুল ইসলাম।

নিহত গৃহবধু রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকার শ্রী জ্ঞান চাঁদের মেয়ে।

আমেনা বেগম ২০১৫ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর থেকে পরিবারের সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না।

ধর্মান্তরিত হওয়ার পর গত তিন বছর ধরে আমেনা বেগম একই ইউনিয়নের পূর্ব মুদাফৎ থানা এলাকায় বিভিন্ন মানুষের বাসায় আশ্রয় থাকতেন। একবছর আগে সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পাওয়া একটি টিনের ঘরে থাকতেন। তবে আমেনা বেগম কয়েক বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর প্রথম বিয়ে করেন। তবে স্বামী মারা যাওয়ায় সেই সংসার বেশি দিন করতে পারেননি।

এরপর সবশেষ ১৭ দিন আগে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ভবেশ এলাকার আবতাব উদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন নামের সাথে বিয়ে করে আমেনার বাড়িতেই থাকতেন।

পুলিশ জানায়, রমনা মডেল ইউনিয়নের পূর্ব মুদাফৎথানা এলাকায় এক বাড়িতে তালাবদ্ধ অবস্থায় এক নববধুর লাশ দেখতে পেয়ে চেয়ারম্যান খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে শয়ন কক্ষের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আমেনা বেগমের লাশ দেখতে পাওয়া যায়। তবে ওই নববুধুর স্বামীকে পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ।

রমনা মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, দুপুরে ওই এলাকা থেকে লোকজন ফোন দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় জানালা দিয়ে শয়ন কক্ষে বিছানার ওপর আমেনার লাশ দেখতে পারি। এরপর আমি থানায় খবর দিয়ে পুলিশসহ দরজার তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল সম্পূর্ণ করি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আমেনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা যাবে। এঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

বিবার্তা/রাফি/লিমন