ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুকে লক্ষ্মীপুরে তার মা শামিম আরা চৌধুরীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী জামে মসজিদের সামনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মসজিদের কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। এরআগে বাদ জুমআ রাজধানীর চ্যানেল আই চত্বরে হিমুর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে রাত ৭ টার দিকে ঢাকা থেকে হিমুর লাশবাহী গাড়ি লক্ষ্মীপুর এসে পৌঁছায়।
হুমায়ারা হিমুর মামা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক মঈন উদ্দিন চৌধুরী কামরু বলেন, হিমুর বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। হিমু বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার বাবা প্রকৌশলী সানা উল্লাহ গত আগস্ট মাসে মারা যান। তার মা শামীম আরা চৌধুরী ২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হিমুর মরদেহ তার মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা সানা উল্লাহর সঙ্গে হিমুর মায়ের বিয়ে হয়। হিমুর জন্মের পরেই তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকেই হিমুকে নিয়ে তার মা লক্ষ্মীপুরে থাকতেন। কখনো দাদার বাড়িতে যাওয়া হয়নি তার।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল বলেন, হিমুর জন্ম আমাদের এলাকায়। লামচরী তার নানার বাড়ি। তারা এখানেই থাকতেন। পরে পাশ্ববর্তী এরশাদ ভিলায় তারা ভাড়া থাকতেন। একপর্যায়ে তারা এখান থেকে ঢাকায় চলে যান। এখানে তাদের বাসা-বাড়ি কিছুই নেই। লক্ষ্মীপুর আসলে নানা বাড়িতেই থাকতেন তারা।
প্রসঙ্গত, হুমায়ারা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে হুমায়রা হিমুর অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল।
বিবার্তা/সুমন/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]