রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুনের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মার্কেটটির ব্যবসায়ীরা পূনর্বাসনের দাবি করে দ্রুত ব্যবসার সুযোগ করে দিলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানান তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে কৃষিমন্ত্রীও জানালেন, বঙ্গবাজারের মতো অস্থায়ী ভিত্তিতে কৃষি মার্কেটও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নেন তিনি। বলেন, বঙ্গবাজারের মতো অস্থায়ী ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটও চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, শুধুমাত্র দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও সঠিক তদারকির অভাবে দেশে একেরপর এক দুর্ঘটনা সংঘঠিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর সরকারের তরফ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও তার রিপোর্ট আর জাতির সামনে প্রকাশ করা হয় না। একেকটি দুর্ঘটনার পর অসংখ্য ব্যবসায়ী পথে বসে যেতে বাধ্য হয়। শত শত দোকান কর্মচারী কাজ হারিয়ে বেকারে পরিণত হয়। সরকার নামকাওয়াস্তে পুনর্বাসন প্রদান করে তাদের দায়িত্ব শেষ করে। আমরা স্পষ্টভাষায় সরকারকে বলতে চাই, নামকাওয়াস্তে সাহায্য-সহযোগিতা নয়, কৃষি মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী পর্যাপ্ত পুনর্বাসন দ্রুত করতে হবে।
তারা আরো বলেন, সরকার বারবার বলে ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় আমরা ফায়ার সার্ভিসের দুর্বলতা দেখতে পাই। আজো অতীতের অগ্নিকাণ্ডের মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসকে ছয় ঘণ্টার অধিক সময় লেগেছে। আমরা বারবার বলেছি, কাগুজে-কলমে নয়, আক্ষরিক অর্থে ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক করতে হবে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।
নেতৃদ্বয় বলেন, আজকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান থেকে একটি পণ্য বের করে আনতে পারেনি। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিনাসুদে ঋণ প্রদান করতে হবে। আজকের এই ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারী স্বাভাবিক জীবন নির্বাহের জন্য সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
নগর কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে এমনটা ঘটেছে দাবি করে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
এমন অবস্থায় কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা। তারা বলছেন, দ্রুত মার্কেট চালু হলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
এদিকে, দোকান মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে সহায়তাও দেয়া হয়েছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]