পাংশায় সাব-রেজিস্টার সহ ৮ জনের নামে মামলা
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৯:০৪
পাংশায় সাব-রেজিস্টার সহ ৮ জনের নামে মামলা
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজবাড়ীর পাংশায় সাব-রেজিস্টার, দলিল লেখক ও স্বাক্ষীদের নাম উল্লেখ করে নুজদারী বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত রবিবার রাজবাড়ী আদালতে সাব-রেজিস্টার সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নুজদারী বিশ্বাস।


তিনি পাংশা পৌর এলাকার রতন বিশ্বাসের ছেলে। সে জমি কেনা-বেচা (দালালি) করেন বলে জানান নিজেই।


বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়েছে এবং তদন্তের জন্য সিআইডির উপর দিয়েছে।


মামলার আসামীরা হলেন, পাংশা পৌর এলাকার মৃত বিনোদ কুমার সরকারের ছেলে খিরোদ কুমার সরকার (দলিলের দাতা), আজিজুল ইসলাম (সাক্ষী), আকবর আলী মণ্ডল (সাক্ষী), বাসনা সরকার (দলিলের গ্রহীতা), মো. রাসেল মণ্ডল ইসলাম মিঠু (সাক্ষী ও শনাক্তকারী), শাকিল আহমেদ সুজন (দলিল লেখক) ও মো. সাখাওত হোসেন সুমন (সাব-রেজিস্টার)।


বাদী নুজদারী বিশ্বাস এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া এলাকার মৃত পুষ্প চন্দ্র শর্মার ছেলে সূর্য কুমার শর্মা কাছ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা মূল্যে চলতি বছরের ১৪ জুন ৫৬০৭ দাগে ৩ শতাংশ জমি পাওয়ার আব এট্যানি দলিল করি।


তবে তার কিছুদিন পর আসামি খিরোদ কুমার সরকার আমার জমির দাতার (সূর্য কুমার শর্মা) ভাই রাজ কুমার শর্মা কে দাতা দেখিয়ে ২৭/১২/১১ তারিখ মূলে একটা পাওয়ার আব এট্যানির বলে চলতি মাসের ১ তারিখে ওই তিন শতাংশ জমি অন্য আসামি বাসনা সরকারের নামে কবলা দলিল করে দেন। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে একই জমি দুইবার রেজিস্ট্রেশন করা হয়।


তিনি আরও বলেন, এই জমির মূল মালিক রাজ কুমার শর্মা চিকিৎসার জন্য ভারত গেলে সেখানেই মারা যায়। ফলে এই জমির মালিক সূর্য কুমার শর্মা (আমার জমির দাতা) হন।


খিরোদ কুমার সরকার (দলিলের দাতা) বলেন, আমি নিজ নামে রাজ কুমার শর্মার কাছ থেকে ২০১১ সালে ওই তিন শতাংশ জমির পাওয়ার আব এট্যানি করি।এত বছর যাবত আমি ওই জমির উপর মন্দির সহ বসতবাড়ি করে আসছি। সম্প্রতি ওই জমি আমার স্ত্রীর নামে কবলা দলিল করেছি।


দলিল লেখক শাকিল আহমেদ সুজন বলেন, একটি জমি রেজিস্ট্রেশন ক্ষেত্রে যে-সব সরকারি নিয়মনীতি থাকে তার সব কিছু সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করে এই জমি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।


পাংশা সাব-রেজিস্টার অফিসের দলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডার সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত এই অফিসের দলিল লেখক ও স্টাম্প ভেন্ডার সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আজ অবধি কখনো শুনতে পাই নাই এখানে জাল দলিল হয়। যারা এমন অভিযোগ এসেছে তার মিথ্যা ও বানোয়াট।


পাংশা সাব-রেজিস্টার মো. সাখাওত হোসেন সুমন বলেন, সরকারি বিধিমোতাবেক সকল আইনকানুন মেনেই ওই দলিল করা হয়েছে। এই দলিলের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো গাফলতি নাই।তবে একই জমির কীভাবে দুইবার খাজনা কাটা হয়েছে সেটা ভূমি অফিস ভালো বলতে পারবে।


বিবার্তা/মিঠুন/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com