পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরী
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১৬:২১
পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরী
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চট্টগ্রাম নগরবাসী। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালও। বর্ষার টানা বৃষ্টিতে আবার তলিয়ে গেল চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা। আগের দিন দুই ঘণ্টা বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানিতে থৈ থৈ করলেও সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ায় বেশি বেগ পেতে হয়নি সাধারণ মানুষকে। কিন্তু শনিবার অফিসগামী মানুষ আটকে যায় জলাবদ্ধতায়।


৫ আগস্ট, শনিবার সকাল থেকে একটানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নগরীর প্রধান সড়কগুলো। পাশাপাশি বাসা-বাড়িতেও উঠেছে পানি। আবহাওয়া অফিস বলছে এ বৃষ্টি থাকবে আরও ২ থেকে ৩ দিন। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।


চট্টগ্রাম পতেঙ্গাস্থ আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জহিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুর বারোটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬১ দশমিক ৮ মিলিমিটার। সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার। আর ৬টা তেকে ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫৭ মিলিমিটার।


আবহাওয়াবিদ জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সকাল ৯টার পর থেকে বৃষ্টির তোড় বেশি ছিল। এর সাথে যোগ হয়েছে জোয়ার। দুই প্লাবনে নগরীতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে স্বাভাবিক জোয়ারের উচ্চতা যেখানে ৫ দশমিক ৩৬ মিটার হয়ে থাকে, তখন তার চেয়ে ১ থেকে ২ মিটার বেশি জোয়ারের উচ্চতা হবে। যদি বৃষ্টির বেগ তখন এমনটি থাকে, তাহলে নগরীর অবস্থা খারাপ হবে।’


সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাঁটু থেকে কোমরপানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক; বাসাবাড়ি-দোকানপাটে ঢুকে পড়েছে পানি। নগরীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।


এদিকে চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, ডিসি রোড, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, শান্তিবাগ আবাসিক, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, ছোটপুল, গোসাইলডাঙ্গাসহ নগরের অধিকাংশ নীচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে ড্রেনের পানি বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়েছে।


এসব এলাকার প্রধান সড়কের কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর, আবার কোথাও বুক ছুঁই ছুঁই পানিতে তলিয়ে গেছে। বাসায় পানি ঢুকে যাওয়ায় আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হচ্ছে। বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভিজে গেছে বেশ কিছু পণ্য।


প্রসঙ্গত, নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।


বিবার্তা/জাহেদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com