কুষ্টিয়ায় কাউন্সিলরের নির্দেশে যুবলীগ নেতার হাত কর্তনের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৪:০৯
কুষ্টিয়ায় কাউন্সিলরের নির্দেশে যুবলীগ নেতার হাত কর্তনের অভিযোগ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলামের হাত কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিনের নির্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহিনী। তবে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করছেন শাহিন উদ্দিন।


শনিবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের যুগিয়া পালপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হাফিজুল ইসলাম একই এলাকার আসমত প্রামাণিকের ছেলে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে কাউন্সিলর শাহিনের সাথে হাফিজের বিরোধ চলছিল। বিশেষত হাফিজ আগামী পৌর নির্বাচনে ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করে গণসংযোগও চালিয়ে আসছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় যুগিয়া পালপাড়ায় ছিলেন হাফিজুল। এসময় হঠাৎ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা হাফিজের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাফিজের বাম হাত কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় হাফিজকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত হাফিজকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।


কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাত কর্তনের রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং এই রোগীর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরিবারের লোকজনকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।


আহত হাফিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর শাহিনের সহযোগী নিজাম উদ্দিন তার লোকজনকে জড়ো করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমার উপর হামলা করেছে। এ সময় স্থানীয় ঝন্টু কসাই মাংস কাটায় ব্যবহৃত ধারালো ডাসা দিয়ে আমার বাম হাতে আঘাত করলে আমার বাম বাহু কনুইয়ের উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


তিনি জানান, এসময় আরও কয়েকজন ব্যক্তি আমার উপর হামলা করে বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাতে আমাকে গুরুতর আহত করে। এরপরই স্থানীয় লোকজন ছুঁটে এলে কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিনসহ তার ক্যাডার বাহিনীর লোকজন পালিয়ে যায়।


হামলার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন বিবার্তাকে বলেন, নিজাম মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিল। এসময় যুবলীগ নেতা-কর্মীরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। এসময় তাদের গায়ের সাথে মোটরসাইকেল টাচ লাগায় তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে তারা নিজামের মাথা ফাটিয়ে দেয়। এরপর নিজামের বাড়ি পাশে থাকায় এলাকার লোকজন শাহিনরে ওপর হামলা করেছে।


তিনি বলেন, সে (শাহিন) দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে। সে মূলত ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে। আমরা এটা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কোনো দিন ছাত্রলীগ করেনি, হঠাৎ করে যুবলীগে চলে এসেছে। আমি যেহেতু কাউন্সিলর এলাকার সবাই আমার বাড়ির লোক। আমি তো মারিনি। আমি কোনো অন্যায়, দোষ করিনি।


কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি আশিকুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আমরা ওই এলাকায় পুলিশ ফোর্স রেখেছি। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।


বিবার্তা/সোহেল/কেআর

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com