ঈদের নামাজ শেষে মহল্লায় মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৩, ০৯:৪১
ঈদের নামাজ শেষে মহল্লায় মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় সারাদেশে উদযাপিত করছে অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি শুরু হয়। যা ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত চলবে।


২৯ জুন, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে বৃষ্টির মধ্যে মহল্লায় মহল্লায় নামাজ শেষে বাসার নিচের গ্যারেজে, বাসার সামনের রাস্তায়, এলাকার ফাঁকা মাঠে পছন্দের গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি চলছে। রাজধানী ঢাকার সব অলিগলিতেই পশু কোরবানির এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। কসাইরাও পার করছেন ব্যস্ত সময়। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।


রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠে চলছে পশু কোরবানি। কোরবানির পশু জবাই করতে মহল্লার এ বাড়ি থেকে ওই বাড়ি ছুটছেন মৌলভিরা।


এদিকে চুক্তিতে পশুর মাংস কাটতে আসা কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।


যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা নেয়ামত জানান, আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় সকালে নামাজ পড়ে এসেই পশু কোরবানি করেছি। বৃষ্টির মধ্যে কিছুটা বেকাদায় পড়তে হচ্ছে। তারপরেও আল্লাহর শুকরিয়া যে কোরবানি দিতে পারছি।


যাত্রাবাড়ীর আরেক বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি করেছি। আগে গ্রামের বাড়িতে কোরবানি করতাম। গত বছর মা মারা গেছেন, তাই এখন ঢাকায় কোরবানি দিচ্ছি। সকালে নামাজ পড়ে এসেই পশু কোরবানি করেছি। এখন চামড়া ছাড়ানোর কাজ করছেন কসাইরা। মাংস কাটা শেষ হলে গরীবদের মাংস বিতরণ করবো, আত্মীয়দের বাসায় পাঠাবো।


কারওয়ানবাজারের বাসিন্দা তোফায়েল বলেন, আগে গ্রামের বাড়িতে কোরবানি করতাম। গত বছর মা মারা যাওয়ার পর এখন ঢাকায় কোরবানি দিচ্ছি। মাংস কাটা শেষ হলে গরিব ও আত্মীয়দের বাসায় পাঠাব।


মৌসুমি কসাই নান্নু মিয়া বলেন, আমরা আজ তিনটা গরুর কাম নিছি (মাংস কাটার কাজ)। একটা তো অর্ধেক কাটা শেষ করলাম। এরপর আরও দুইটা কাটুম। ওই দুইটা এক মালিকেরই গরু, তাই একসঙ্গে দুইটা গরুই ফালামু। কালকেও একটা গরুর কাম নিছি। ঈদের সময় টুকটাক এইসব কাজ করি আরকি।


তবে কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সবাই আজ কোরবানি করছেন না। কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন পশু কোরবানি দেবেন। এরমধ্যে অধিকাংশই কসাই না পাওয়ায় প্রথম দিন পশু কোরবানি করছেন না।


এদিকে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।


এছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহার করার আহ্বান জানান হয়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com